Advertisement
E-Paper

হাসমিচকে অগ্নিকাণ্ড

প্রাথমিক তদন্তের পরে দমকল কর্তাদের একাংশের অনুমান, সোনা গলানোর কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে। রিপোর্ট দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০১:২৯
ভস্মীভূত: আগুনে পুড়ছে দোকান। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

ভস্মীভূত: আগুনে পুড়ছে দোকান। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

ভর সন্ধেয় ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেল শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের অন্তত ১৫টি দোকান।

শুক্রবার সন্ধেয় হাসমিচকের ঘটনা। এ দিন যাদব সমিতি লাগোয়া একটি বহুতলে আগুন লেগে যায়। দোতলায় আগুন পৌঁছনোর আগেই দমকল এসে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে আগুন। ততক্ষণে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে শহরের আকাশ। প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ঘটনাস্থলে চলে আসেন শিলিগুড়ি মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা।

প্রাথমিক তদন্তের পরে দমকল কর্তাদের একাংশের অনুমান, সোনা গলানোর কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে। রিপোর্ট দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

সন্ধেবেলায় লেলিহান শিখা দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ব্যস্ত হিলকার্ট রোডে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দ্রুত আসে পুলিশ। তারা ওই বহুতলের উপরের তলায় যাঁরা ছিলেন তাঁদের নামিয়ে আনেন। ফাঁকা করে দেওয়া হয় আশেপাশের বহুতলগুলোও। বন্ধ করে দেওয়া হয় হিলকার্ট রোডের একাংশ। ভিড় জমে যায় রাস্তায়, অন্য বহুতলে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আগুনের ছবি ছড়িয়ে পড়ায় শহরজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

পুলিশ জানিয়েছে, একতলার একটি বহু পুরনো এবং নামকরা হোটেলের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে। ভস্মীভূত হয়েছে সোনা গলানোর কয়েকটি কারখানা। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল, ইলেকট্রনিক জিনিসের দোকানও। আগুন লাগার কারণ-সহ অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে পুরসভার তরফেও প্রতিনিধি দল গড়া হয়েছে। আজ শনিবার দলটি পরিদর্শনে আসবে বলে জানানো হয়েছে।

মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বহুতলে আগুন লাগার ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। বহু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। দমকল কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয় সে দিকেও নজর থাকবে।’’ জানা গিয়েছে, আগুন লাগার পরে দমকল না আসা পর্যন্ত আগুন নেভানোর কাজ তেমন ভাবে শুরুই হয়নি। শহরের বহুতলগুলোয় অগ্নিপ্রতিরোধক ব্যবস্থার হাল কী রকম রয়েছে সেই প্রশ্নও তুলে দিয়েছে শুক্রবারের ঘটনা।

Fire Shops
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy