Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

দিনবাজারে তদন্তে ফরেন্সিক দল

দিনবাজার অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করল রাজ্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল। রবিবার দুই সদস্যের দলটি ভস্মীভূত এলাকা ঘুরে জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন। এ দিন দুপুরে ঘিরে রাখা ঘটনাস্থলে যান বিশেষজ্ঞরা। পৌনে এক ঘণ্টা ধরে তাঁরা এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন।

দিনবাজারে ফরেন্সিক দল। রবিবার সন্দীপ পালের তোলা ছবি।

দিনবাজারে ফরেন্সিক দল। রবিবার সন্দীপ পালের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৫ ০২:৪৭
Share: Save:

দিনবাজার অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করল রাজ্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল।

রবিবার দুই সদস্যের দলটি ভস্মীভূত এলাকা ঘুরে জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন। এ দিন দুপুরে ঘিরে রাখা ঘটনাস্থলে যান বিশেষজ্ঞরা। পৌনে এক ঘণ্টা ধরে তাঁরা এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান চিত্রাস সরকার। অন্য সদস্য হলেন শৈলেন দাস। চিত্রাসবাবু বলেন, “সরেজমিনে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পরে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সেগুলি পরীক্ষার পরে জেলা পুলিশের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে।” অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে তাঁদের কেউ অবশ্য কিছু বলেননি।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৮৭৮ সালে তৈরি জলপাইগুড়ি দিনবাজার টিনশেড চত্বর পুড়ে ছাই হয়। শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত বারোটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার সকালে ফের ধ্বংসস্তুপ থেকে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। রবিবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও আধপোড়া জিনিসপত্রের গন্ধে বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। ওই আবস্থায় বেলা ১২ টা নাগাদ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা সেখানে যান। পুড়ে যাওয়া সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করেন।

এদিকে বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলে ধীরে হলেও দিনবাজার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। রবিবার কাপড়ের বাজার খোলা ছিল। খুলেছে ফল-সহ অন্য দোকান। ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। ভস্মীভূত এলাকা দেখার জন্য এদিনও ভিড় ছিল। যদিও ঘেরা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকায় বাইরে থেকে কেউ ভিতরে যেতে পারেনি। দুপুরে দিনবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে আলোচনায় বসেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি ব্যবসায়ীদের সাহায্যের আশ্বাস দেন। এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।

সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত কর্মচারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে একশো। দুঃস্থ ব্যবসায়ী আছেন ৫০ জন। এই মুহূর্তে তাঁদের আর্থিক সাহায্য জরুরি। সংস্থার তরফে এদিন সৌরভবাবুর কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানানো হয়। সৌরভবাবু জানান, যথাসাধ্য সাহায্যের চেষ্টা করা হবে। ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক দেবু চৌধুরী বলেন, “সাহায্য এবং পুনর্বাসনের জন্য আগামী ১২মে পুরসভা এবং ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা আলোচনায় বসা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE