Advertisement
E-Paper

ধরিয়ে দিল মোবাইলই, ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই পাম্প ডাকাতিতে গ্রেফতার চার

তিন জেলার ‘কুখ্যাত’ দুষ্কৃতীদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের উপরে টানা নজরদারি চালিয়ে ৪টি পেট্রল পাম্পে ডাকাতিতে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে ফাঁসিদেওয়া, ফুলবাড়ি, ময়নাগুড়ি এবং আমবাড়ির চারটি পেট্রল পাম্পে ডাকাতি হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:০৩
বার্তা: ধৃতদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র

বার্তা: ধৃতদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র

তিন জেলার ‘কুখ্যাত’ দুষ্কৃতীদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের উপরে টানা নজরদারি চালিয়ে ৪টি পেট্রল পাম্পে ডাকাতিতে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে ফাঁসিদেওয়া, ফুলবাড়ি, ময়নাগুড়ি এবং আমবাড়ির চারটি পেট্রল পাম্পে ডাকাতি হয়। তার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই রবিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ৪ জনকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সকলেই পুলিশের খাতায় ‘দাগি’ হিসেবে পরিচিত।

শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (ডিডি) গৌরব লাল বলেন, ‘‘৪ জন ধরা পড়েছে। আরও একজনকে খোঁজা হচ্ছে। ইসলামপুর ও বিধাননগরেও ডাকাতির ঘটনায় এরা যুক্ত বলে জেরায় স্বীকার করেছে।’’

পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম মহম্মদ খইরুল, মহম্মত রাজু ওরফে শিশুপাল, মহম্মদ সরিফুদ্দিন এবং সুব্রত অধিকারী ওরফে ইসমাইল। তাদের কাছ একটি নকল অ্যাম্বুল্যান্স, দুটি বাইক, একটি দেশি পিস্তল, এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং ৫টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। সকলেরই বাড়ি চোপড়া থানা এলাকায়।

পুলিশ সূত্রের খবর, ডাকাতির পরে আইজি উত্তরবঙ্গ আনন্দ কুমার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের তদারকিতে টিম গঠন করে দ্রুত ডাকাতদের ধরার নির্দেশ দেন। শনিবার পুলিশ টিম গঠন করে উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ ও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অফিসাররা একযোগে তথ্য আদানপ্রদান শুরু করেন। সেই সময়ে চোপড়ার দুষ্কৃতী খইরুলের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখতে গিয়ে চমকে যান অফিসাররা।

তাঁরা দেখেন, শুক্রবার রাতে চারটি পাম্পে ডাকাতির সময় খইরুলের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনও মিলছে। শনিবার ভোর থেকে সেই মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যে খইরুলকে ধরে ফেলে। তার সঙ্গে থাকা আর একটি মোবাইলে পর পর ফোন আসতে থাকে। সেই ফোনের সূত্রে পুলিশ পর পর আরও ৩ জনকে ধরে ফেলে। উদ্ধার হয় অস্ত্র, নকল অ্যাম্বুল্যান্সও। আরও একজনকে এখনও ধরা যায়নি। তদন্তকারী দলের এক অফিসার জানান, খইরুল অতীতে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত। তবে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে এক রাতে ৪টি জায়গায় ডাকাতির অভিযোগ অতীতে ওঠেনি তার বিরুদ্ধে।

পুলিশ জানায়, খইরুলের উপরে নজর ছিল গোড়া থেকেই। ভোরবেলায় শিলিগুড়ির কাছেই তার মোবাইল টাওয়ার দেখা গিয়েছে। তার পর থেকেই সেটি বন্ধ। পুলিশ একযোগে ৫টি এলাকায় তল্লাশি চালালে একটি বাড়ি থেকে খইরুলকে ধরা হয়।

Robbery Siliguri Petrol Pump
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy