Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

উঠোনে নদী, বাঁধে সংসার

এ দিকে ফুলহারের জল বেড়ে যাওয়ায় রবিবারই দুপুর থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ইসলামপুর ও দৌলতনগর এবং রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দাটোলা ও বিলাইমারি এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জল ঢুকতে শুরু করেছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৭ ০৬:৫০
Share: Save:

ফুলহার নদী চরম বিপদসীমার এক মিটার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় মালদহ জেলার চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তত ২০ হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়ল। এর মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ইসলামপুর ও দৌলতনগর এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তত ৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন মহানন্দা বাঁধের ধারে। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে প্রচুর গবাদি পশুও। সোমবার বিকেল পর্যন্ত কোনও ত্রাণ তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি। এতে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

বিপদ আরও বেড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে বিহারের আজিমনগর থানা এলাকার ধুবল সিদকিয়া গ্রামে ফুলহারের বাঁধ ভাঙায়। জল হরিশ্চন্দ্রপুরের দিকেই ধেয়ে আসছে। বিকেলে কুমেদপুরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। গঙ্গার জলস্তরও বাড়ছে। অসংরক্ষিত এলাকা দিয়ে গঙ্গার জল ঢুকে এ দিন কালিয়াচক ৩ ব্লকের পারদেওনাপুর-শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আরও বিস্তীর্ণ এলাকা তাতে জলমগ্ন হয়েছে। বাড়ছে মহানন্দার নদীর জলও। এর জেরে ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরের নদীর অসংরক্ষিত এলাকার বাড়িঘর ডুবে গিয়েছে।

সেচ দফতর সূত্রে খবর, ফুলহার বেলা ১২টা নাগাদ চরম বিপদসীমা পার করেছে। এ দিন গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৪.২৪ মিটার ও মহানন্দা ২০.৬২ মিটার। এদের জলও বাড়ছে।

এ দিকে ফুলহারের জল বেড়ে যাওয়ায় রবিবারই দুপুর থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ইসলামপুর ও দৌলতনগর এবং রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দাটোলা ও বিলাইমারি এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জল ঢুকতে শুরু করেছিল। ইসলামপুর ও দৌলতনগরের অবস্থা মারাত্মক হয়ে পড়ায় রবিবার রাত থেকেই জলবন্দি মানুষরা কোনওরকমে নৌকা জোগাড় করে মহানন্দার বাঁধে চলে আসেন। ইসলামপুরের দক্ষিণ ভাকুরিয়া গ্রামের রহিম শেখ, আবদুল রশিদ, উত্তর ভাকুরিয়ার আবু তালেবরা বলেন, সন্ধ্যাতেই পরিবার ও গবাদিপশু নিয়ে এপারের বাঁধে চলে আসেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE