পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।
কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি: কালিম্পঙের প্রশাসনিক সভায় গজলডোবা থেকে টাইগার হিলের মত পর্যটন প্রকল্পের কাজের গতি, মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবকে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত ঢিমেতালে কাজ হচ্ছে সেই প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকালেই শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় ফিরেই মন্ত্রীকে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী সঙ্গে দফতরের অফিসারদের নিয়ে এক দফায় বৈঠক করেন। সেখানে গৌতমবাবুকেই বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতার বিমান ধরার আগে গজলডোবার পরিস্থিতির রিপোর্টও চান। সেই নির্দেশেই শুক্রবার সকালে গজলডোবা যান পর্যটনমন্ত্রী। প্রকল্পের কাজ পর্যালোচনা করে দুপুরে মন্ত্রী বাগডোগরা যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে পরিস্থিতির কথা জানিয়ে এসেছেন।
উত্তরকন্যার বৈঠকে ঠিক হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের প্রকল্পগুলি নিয়ে অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন পর্যটন মন্ত্রী। আজ, শনিবার গজলডোবায় যাবেন দফতরের প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্যও। ঠিক হয়েছে, গৌতমবাবু প্রতি সপ্তাহে আর জলপাইগুড়ির জেলাশাসক ১৫দিন অন্তর গজলডোবা নিয়ে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে রিপোর্ট জমা দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী পর্যটন মন্ত্রীকে বলেছেন, কাজে হাত দিয়ে শুধুমাত্র বসে থাকলে চলবে না। টেন্ডার, ওয়ার্ক অর্ডার হওয়ার পর তা মন্ত্রীকেই নিয়মিত নজরদারি করতে হবে। গজলডোবার ক্ষেত্রে তা ঠিকঠাক হচ্ছে না বলেই মুখ্যমন্ত্রীর মনে হয়েছে।
পর্যটন মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। উত্তরকন্যায় উনি আমাকে পাহাড়-সমতলের প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করার জন্য বলেছেন। কিছু নির্দেশও দিয়েছেন। এ বার সেই মতনই কাজ হবে।’’ মন্ত্রী জানান, গজলডোবার কটেজ, অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস, রাস্তা, সেতু, পাম্প হাউস-সহ বিভিন্ন কাজ তিনি দেখে এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘দুপুরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে সব জানিয়েছি। কাজে আর কোনও ঢিলেমি আমরাও বরদাস্ত করব না।’’
দফতর সূত্রে খবর, আমবাড়িতে বিদ্যুতের হাইটেনশন লাইন সরিয়ে ২৬ কোটি টাকার রেলওয়ে ওভারব্রিজ, সরস্বতীপুর চা বাগান দিয়ে বেঙ্গল সাফারি অবধি ঘোরার জন্য ৫ কোটি টাকা দিয়ে রাস্তা, ব্যারাজেরে সেচ দফতরের সেতুর পাশেই নতুন সেতু কাজও এ দিন চূড়ান্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy