ঘেরাও আন্দোলনের পর রাত পোহাতেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কমিটি ভেঙে দিল রাজ্য নেতৃত্ব। শনিবার রাজ্য নেতৃত্ব ওই নির্দেশ জারি করেছে। রাজ্য নেতৃত্বের ওই নির্দেশ জারি করায় অস্বস্তিতে জেলা টিএমসিপি নেতৃত্ব। তবে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই ওই কলেজের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জেলা সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে।
জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি প্রসেনজিত দাস এ দিন জানান, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ পালন করা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর দাবি, ‘‘ওই কলেজে কোনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল না। একটি কোর কমিটি কাজ চালাত। নাজমুল হক নামে যে ছাত্র কলেজ ইউনিটের সভাপতি বলে দাবি করেছে সে সংগঠনের কেউ নয়।’’
যদিও নাজমুল হক এ দিন দাবি করেন, ‘‘আমরা দলীয় পতাকা নিয়ে আন্দোলন করিনি। ছাত্ররা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছিল। আমরা তাঁদের পাশে ছিলাম। পদে থাকি বা না থাকি আগামীতে ছাত্র স্বার্থে ওদের পাশেই থাকব। ১১ তারিখ থেকে কলেজে ফের লাগাতার আন্দোলন হবে।’’
‘‘কলেজে দাদাগিরি, অধ্যক্ষ ঘেরাও, আন্দোলন চলবে না। আমরা এমন কাজ করব না যাতে দলনেত্রীকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তেমন হলে দল কড়া পদক্ষেপ করবে।’’ মালদহে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মিসভায় শুক্রবার ওই মন্তব্য করেছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি জয়া দত্ত। তখন হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজে অনার্সের আসন সংখ্যা বাড়ানো-সহ পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ভিতরে আটকে কলেজের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে কলেজে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে টিএমসিপির বিরুদ্ধে। রাত ৯টা নাগাদ ঘেরাওমুক্ত হন শিক্ষকরা। এ দিন কলেজে নিরাপত্তার দাবিতে অবস্থান শুরু করেন শিক্ষাকর্মীরা। ওই সময় টিএমসিপি ফের গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরে কলেজে আসেন তৃণমূল নেতা তজমুল হোসেন। তিনি শিক্ষকদের আশ্বস্ত করার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ভূপেন্দ্র ঘিমিরে বলেন, শুক্রবারের ঘটনার পর আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। তবে তজমুল সাহেবের পাশাপাশি সংগঠনের রাজ্য সভাপতিও আশ্বস্ত করেছেন যে আর কোনও সমস্যা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy