ফাইল চিত্র।
কুরুখ ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিনেই বিধানসভায় ভাষা নিয়ে রাজনীতির প্রসঙ্গ উঠল। দার্জিলিঙে গোলমালের প্রসঙ্গ টেনে শাসক শিবিরকে ‘খোঁচা’ দিলেন সিপিএম বিধায়ক, শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পাশ হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারি ভাষা সংশোধনী বিল, ২০১৮। সরকারি স্বীকৃতি পেল উত্তরবঙ্গের ওঁরাও জনগোষ্ঠীর ‘কুরুখ’ ভাষা। এ দিনের অধিবেশনে নতুন বিলকে সমর্থন করেছেন সিপিএম বিধায়কেরা। তবে লিখিতভাবে কোনও সংশোধনী না আনলেও বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে অশোকবাবু প্রস্তাব দেন, ভাষা স্বীকৃতির পিছনে যেন সংকীর্ণ ভোট রাজনীতি কাজ না করে। দার্জিলিং প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘১৯৬১ সালের পশ্চিমবঙ্গ সরকারি ভাষা আইনটিকে না-মানার কারণেই দার্জিলিংয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। কারণ, সেখানে নেপালি ভাষাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। ‘কুরুখ’ এবং ‘সাদ্রী’ ভাষা নিয়ে গবেষণা চর্চাকেন্দ্র তৈরি করা প্রয়োজন। এটা নিয়ে সংকীর্ণ রাজনীতি করা উচিত নয়।’’
জবাবি ভাষণে পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, বিভিন্ন ভাষাকে বাঁচানোর বিষয়ে গত সাড়ে ছ’বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের যে উদ্যোগ তার কোনও প্রতিফলন অশোকবাবুর বক্তব্যে কেন নেই। তিনি বলেন, ‘‘মনে হল অশোকবাবু একটু রাজনৈতিক সুর দিয়ে দিলেন। কোথাও এটা বলা হয়নি, যে বাংলাই থাকবে। বাংলা তিনটি ভাষার মধ্যে একটি হবে। পাহড়ে এটাই বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মিরিকে গিয়ে বলেছিলেন বিকল্প (অপশনাল) হিসাবে বাংলাকে রাখতে হবে। তার মানে এই নয়, বাংলা ছাড়া অন্য ভাষা চলবে না।’’
এ দিন অষ্টম ভাষা হিসাবে ‘কুরুখ’কে সরকার স্বীকৃতি দিল। বিলটিকে সমর্থন করলেও কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো উল্লেখ করেন, সরকারি পদ্ধতিতে বাংলার ব্যবহার সেভাবে হচ্ছে না। অন্য যে ভাষাগুলি অতীতে স্বীকৃতি পেয়েছে, সেগুলির ব্যবহারও তেমন নেই। তাঁর দাবি, ‘কুড়মালি’ ভাষাকেও স্বীকৃতি দিক সরকার। জবাবি ভাষণে পার্থবাবু জানান, বাংলা ভাষা ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছে সরকার। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বাংলাতে সই করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy