কখনও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ। কখনও দেদার টুকলি। মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরু খেকে শেষ পর্যন্ত একাধিক বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে মালদহ জেলার স্কুলগুলির একাংশ। মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও যাতে এর পূনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য তৎপর জেলা শিক্ষা দফতর। তাই উচ্চ মাধ্যমিকের সময় জেলার বেশ কিছু স্কুলে বসানো হচ্ছে মেটাল ডোর ডিটেক্টর। বিভিন্ন স্কুলে বসানো হচ্ছে গোপন ক্যামেরাও।
মালদহের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলার আহ্বায়ক বিপ্লব গুপ্ত বলেন, ‘‘পরীক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে আমরা তৎপর রয়েছি। একাধিক স্কুলকে স্পর্শকাতর চিহ্নিত করে মেটাল ডোর ডিটেক্টর, সিসিটিভি বসানো হবে। যার ফলে মোবাইল ফোন কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে কেউ প্রবেশ করলে তা ধরা পড়বে। সেই সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রে টোকাটুকিও রোখা যাবে।
জেলা স্কুল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ৫৭৭ জন। মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও এ বার ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। মোট ২৫৫টি স্কুলে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
তার মধ্যে ইংরেজবাজার, মানিকচক, কালিয়াচকের ব্লকের মোট ২৫টি স্কুলকে স্পর্শকাতর চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ওই স্কুলগুলিতে নকল রুখতে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি। প্রধান শিক্ষক নিজের ঘরে বসেই তা মনিটরিং করবেন। শুধু তাই নয়, কালিয়াচক এবং রতুয়ার একাধিক স্কুলে মোবাইল ঠেকাতে মেটাল ডোর ডিটেক্টর বসানো হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, মাধ্যমিকের ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষায় রতুয়ার একটি স্কুল থেকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষা শুরুর আগেই মোবাইলের মাধ্যমে তা বাইরে বেড়িয়ে যায়।
যার জেরে বিতর্কের মুখে পড়ে রাজ্য শিক্ষা পর্ষদ। শুধু তাই নয়, কালিয়াচকের একটি স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে উন্নতমানের ঘড়ি মোবাইল ফোন নিয়ে পাকড়াও হয় এক পরীক্ষার্থী। এখানে প্রশ্ন ওঠে পরীক্ষা কেন্দ্রে কী ভাবে মোবাইল ফোনের ব্যবহার হচ্ছে। জেলা শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে পরীক্ষা করে কেন্দ্রের মধ্যে ঢোকানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। যার সুবাদে বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু ঘটনা ঘটেছে।’’ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তাপসকুমার দে বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে সমস্ত স্কুল গুলিকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy