বিতর্ক: পরিদর্শনের সময়ে এই দৃশ্য ঘিরেই বেঁধেছে বিতর্ক। শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র
জল জমেছে শিলিগুড়ির নানা এলাকায়। বেহাল নিকাশির কারণে এই সমস্যা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তা দেখতে পরিদর্শনে বেরিয়েছেন শিলিগুড়ি এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের কাছে গাড়ি থেকে নেমে জলে যাওয়ার সময় তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন। সেই সময়ে এসজেডিএ-এর দেবকুমার দে’কে দেখা যায় সৌরভের কাছে গিয়ে উবু হয়ে বসে তাঁর প্যান্ট গুটিয়ে দিচ্ছেন। তা নিয়ে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।
ঘটনাচক্রে, প্রায় একই সময়ে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘কী সব কাণ্ড দেখছেন শহরবাসী! কর্মীরা সরকারি চাকরি করেন। তাঁদের দিয়ে দাসত্ব করানোর মতো ব্যাপার হচ্ছে দেখছি। আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন এসজেডিএ-এর সকলকে সহকর্মী হিসেবে সমমর্যাদা দিয়েছি। এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের আপত্তি করা উচিত ছিল।’’
তবে সৌরভবাবুর দাবি, ‘‘আমি মাঠেঘাটের লোক। ছাত্র রাজনীতির সময়ে মার খেয়েছি। পালিয়ে বেড়িয়েছি অশোকবাবুদের লোকজনের তাড়ায়। ওঁরাই আমাদের দাসত্ব করানোর চেষ্টা করেছিলেন।’’ তিনি জানান, এক্ষেত্রে জলে নামার সময় তাঁর আশেপাশে ভিড় হয়ে যায়। তখন তিনি নিজেই প্যান্ট গোটাচ্ছিলেন। টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যাবেন ভেবে কয়েকজন তাঁকে সাহায্যের চেষ্টা করেছিলেন।
দু’দিন ধরেই সৌরভ শিলিগুড়িতে নানা এলাকায় পরিষেবার বিষয়টি সরেজমিনে দেখছেন। এ দিন সকালে তিনি হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায় যান। সেখানে তখন রাস্তায় জল জমে গিয়েছে। পৌঁছন এলাকার কাউন্সিলর নান্টু পাল। ঘটনাচক্রে, তখনই হাসপাতাল মোড়ের সেই জায়গায় মেয়র পরিষদ (জঞ্জাল) মুকুল সেনগুপ্তকে নিয়ে মেয়র যান। নান্টুবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘মেয়রকে বহুবার বলা সত্ত্বেও নিকাশির বেহাল দশা ঘোচাতে পদক্ষেপ করেননি।’’ মেয়র পারিষদ তখনই আশ্বাস দেন, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।
সৌরভের কটাক্ষ, ‘‘পুরসভা কাজ করছে না বলে এসজেডিএ তো চুপ করে বসে থাকতে পারে না।’’ মেয়রের পাল্টা দাবি, ‘‘পুরসভার এক্তিয়ারে এসজেডিএ মাথা গলাতে পারে না। পুরসভাকে এড়িয়ে কাজ করার চেষ্টা হলে তা বিপজ্জনক।’’ সৌরভ অবশ্য জানান, এসজেডিএ-এর আওতা ভুক্ত এলাকায় বাসিন্দারা যাতে দুর্ভোগে না পড়েন সেটা দেখার দায়িত্ব থেকেই় তাঁরা পথে নেমেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy