চব্বিশ ঘণ্টায় প্রায় ৬০০ মিলিমিটার বৃষ্টি! এর আগে এমন কবে হয়েছে তা দিনভর তথ্য ঘেঁটেও জানাতে পারেনি আবহাওয়া দফতর।
শনিবার সকাল আটটার পরে গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টির রেকর্ড হাতে আসার পরে সেচ দফতরের জলপাইগুড়ির কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমেও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রিপোর্টে সংখ্যার ভুল থাকতে পারে আশঙ্কা করে ফের একপ্রস্ত রিপোর্ট নেওয়া হয়। তাতে দেখা যায় শুধুমাত্র হাসিমারাতেই চব্বিশ ঘণ্টায় ৫৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ৪০০ মিলিমিটার ছুঁয়েছে, জলপাইগুড়িতে ৩০০। দিনে একবারই বৃষ্টিপাতের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। সেচ দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘শনিবার সকাল আটটার সময়ে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। তার পরেও দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে ধরলে হাসিমারায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সাতশো এবং আলিপুরদুয়ারে সাড়ে পাঁচশো মিমি ছাড়িয়ে গিয়েছে।’’
শুধু হাসিমারা বা আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়ি নয় যে সব এলাকায় তুলনামূলক কম বৃষ্টি হয় সেখানেও রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। তুফানগঞ্জে ২৪৮ মিলিমিটার, মাথাভাঙায় ১৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তুফানগঞ্জে বৃষ্টির পরিমাণ ৪০০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেক্ষা হিমালয়ের পাদদেশ এলাকায় চলে আসাতেই বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। তবে ফি বছরই মৌসুমী অক্ষরেক্ষা উত্তরবঙ্গের ওপরে চলে আসে। সে সময়ে বৃষ্টি তুলনামূলক বেড়ে যায়। তবে নাগাড়ে এবং বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি রেকর্ড বলে দাবি। সিকিমেও তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে শনিবার থেকে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘শুধু মৌসুমী অক্ষরেখার অবস্থান নয়, এ বছর দোসর নিম্নচাপও। বিহার ও লাগোয়া সিকিম পর্যন্ত একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার জেরে নিম্নচাপ অক্ষরেখাও বিস্তৃত হয়েছে।’’