Advertisement
E-Paper

মশা তাড়ান, বলে গেলেন বিচারপতিরা

এ দিন মশা নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতিদের সামনে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে সরকারি আধিকারিকদেরও। এক আধিকারিক বলেন, “এজলাসের ভিতরের সাজসজ্জা কী হবে, তা নিয়ে যখন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে, সে সময়েই মুখের সামনে ভনভন করে মশা উড়ছে। কারও মুখেও বসেছে। অনেককে কামড়েওছে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৪৯
পরিদর্শন: অস্থায়ী ভবনে হাইকোর্টের প্রতিনিধিদল। নিজস্ব চিত্র

পরিদর্শন: অস্থায়ী ভবনে হাইকোর্টের প্রতিনিধিদল। নিজস্ব চিত্র

মশামুক্ত করতে হবে সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবন চত্বর, সোমবার পরিদর্শনের সময়ে হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। এ দিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন লাগোয়া জেলা পরিষদের ডাকবাংলো তথা অস্থায়ী আদালত ভবনের পরিদর্শন করেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়, শুভাশিস দাশগুপ্ত-সহ ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া ও বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা। সন্ধে হতেই ভবন চত্বরে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ঢুকে পড়ে। সন্ধেবেলায় যখন দু’নম্বর কোর্ট রুমে পরিদর্শন চলছে সে সময়েই হাইকোর্টের বিচারপতিরা খোঁজ করেন, পুরসভার প্রতিনিধি কে রয়েছেন? পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় তখন উপস্থিত ছিলেন। বিচারপতিরা তাঁকেই গোটা চত্বর মশামুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।

এ দিন মশা নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতিদের সামনে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে সরকারি আধিকারিকদেরও। এক আধিকারিক বলেন, “এজলাসের ভিতরের সাজসজ্জা কী হবে, তা নিয়ে যখন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে, সে সময়েই মুখের সামনে ভনভন করে মশা উড়ছে। কারও মুখেও বসেছে। অনেককে কামড়েওছে।”

অস্থায়ী আদালত ভবনের তিন পাশ দিয়ে নর্দমা রয়েছে। সে নর্দমার মুখ জায়গায় জায়গায় বন্ধ। তার ফলে জল জমে রয়েছে। সেখানেই মশার আঁতুড়ঘর বলে বাসিন্দাদের দাবি। ভবনের একপাশে খোলা জায়গা রয়েছে। সেখানেও ঝোপ-জলা জমি আছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গোটা এলাকাতেই মশার উপদ্রব সইতে হয়। পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সৈকতবাবু বলেন, ‘‘হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতিরা যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে। কাল থেকেই এলাকায় মশা রুখতে কাজ শুরু হবে।’’

দুই বিচারপতি ছাড়াও পরিদর্শন দলে ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা জজ মহম্মদ শব্বর রশিদি, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়, রেজিস্ট্রার (জুডিশিয়ারি সার্ভিস) বিভাস রঞ্জন দে। প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন আসবাবপত্র এবং ডিসপ্লে বোর্ড সংক্রান্ত কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনের জন্য বেঞ্চ চত্বরেই মঞ্চ বাঁধা হবে বলে হাইকোর্টের প্রতিনিধিদল নির্দেশ দিয়েছেন। সে জায়গাও বাছা হয়েছে। বেঞ্চের পাশে ফাঁকা জায়গায় টাউন স্টেশনের দিকে মুখ করে অনুষ্ঠান হতে পারে। এলাকার রাস্তা একমুখি করা এবং হাইকোর্ট ভবনের আশেপাশে সব অস্থায়ী কাঠামো সরিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

পর্যটনমন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, ‘‘মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক জলপাইগুড়িতে আসছেন। সব দফতরকে নিয়ে হাইকোর্টের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানে খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা হবে।’’ আজ, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ফের পরিদর্শন শুরু করবেন হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল।

Mosquito High court Circuit bench
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy