Advertisement
০৪ মে ২০২৪

মুখ্যমন্ত্রী দেখুন, চান ঠাঁইহারারা

কেউ থাকছেন রেল লাইনের কালর্ভাটের নীচে। কাউ থাকছেন খোলা আকাশে প্লাস্টিক টাঙিয়ে। আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন শোভাগঞ্জ এলাকায় রেলের ডবল লাইনের কাজ চলছে।

ছিন্নমূল: এ ভাবেই থাকছে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারেরা। —নিজস্ব চিত্র।

ছিন্নমূল: এ ভাবেই থাকছে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারেরা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২২
Share: Save:

কেউ থাকছেন রেল লাইনের কালর্ভাটের নীচে। কাউ থাকছেন খোলা আকাশে প্লাস্টিক টাঙিয়ে। আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন শোভাগঞ্জ এলাকায় রেলের ডবল লাইনের কাজ চলছে। সেখানে গাড়ি চলাচলের জন্য নতুন ওভারব্রিজ বানাতে গিয়েই পূর্ত দফতরের জমি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে ওই পরিবারগুলি। তাই মাথার ঠাঁই গোঁজার জন্য বাসস্থানের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপও চান পরিবারগুলি।

আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী জানান, পরিবারগুলিকে ‘নিজ ভূমি নিজ গৃহ প্রকল্পে’র আওতায় কয়খাতা এলাকায় যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাঁরা যেতে চান না। তাঁর কথায়, ‘‘শোভাগঞ্জ এলাকায় সরকারের কোনও জমি নেই। তবে কারও যদি নিজের জমি থাকে তাহলে আমরা গীতাঞ্জলি প্রকল্পে তাদের ঘর বানিয়ে দিতে পারি। তবে বাসিন্দারা তাদের বিষয় মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতেই পারেন।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক শুরু হয় নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে এনজেপি পর্যন্ত ডবল লাইনের কাজ। সেজন্য ওই এলাকায় নতুন ওভারব্রিজের কাজ শুরু হয়। সংযোগকারী রাস্তার জন্য উঠে যেতে হয় বহু পরিবারকে। তাঁরা সরে গিয়ে রেল লাইনের ধারে যান। সেখানেও আপত্তি তোলেন রেল কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় বাসিন্দা সুমিত্র দেবনাথ, আরতি পন্ডিতেরা জানান, প্রথমবার তাঁরা ঘর সরিয়ে রেলাইনের ধারে গিয়েছিলেন। এ বার সেখান থেকেও তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দেড়শো পরিবার অসহায়। তাঁরা বলেন, ‘‘কালভার্টের নীচে, পলিথিন টাঙিয়ে দিন-রান কাটাচ্ছি। প্রশাসনের কথা মতো কুড়ি কিলোমিটার দূরে চলে গেলে পেট চালাতে সমস্যা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর আমাদের একটু দেখুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Homeless Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE