ভারত ভূখন্ডের আওতাভুক্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের সচিত্র পরিচয় পত্র বিলির কাজ শুরু করল কোচবিহার জেলা প্রশাসন। শনিবার দিনহাটার দ্বিতীয় খন্ড করলার ৪৭ জন বাসিন্দার হাতে ওই পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর,দ্বিতীয় খন্ড করলার ওই অংশের বাসিন্দারা কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে বসবাস করেন। আগে বাংলাদেশের ছিটমহল বলে চিহ্নিত ওই এলাকার বাসিন্দারা যৌথ জনগণনায় ভারতের নাগরিক হতে চান বলে জানান। ছিটমহল বিনিময়ের পর তাঁরা মূল ভূখন্ডে যাতায়াতে রীতিমতো সমস্যায় পড়েন। তা কাটাতেই অগ্রাধিকার দিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। এদেশের নাগরিক হতে চাওয়া বাকী বাসিন্দাদেরও পর্যায়ক্রমে পরিচয়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলতি সপ্তাহ থেকে শুরু করা হবে। দিনহাটার মহকুমা শাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ বলেন, “ প্রাথমিকভাবে ৪৭ জন বাসিন্দার হাতে সচিত্র পরিচয় পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকীদেরও পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য ছবি তোলার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের ১৪,৮৫৬ জন বাসিন্দার সকলেই যৌথ জনগণনায় ভারতের নাগরিক হতে আগ্রহের কথা জানান। এছাড়াও ভারতের ছিটমহলগুলি থেকে ৯৭৯ জন এদেশে আসতে চান। তাঁদের সকলের নাম ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারে নথীভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। তারপর পর্যায়ক্রমে আঁধার কার্ড ও সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। তাতে কিছুটা সময় লাগবে বলে তালিকাভুক্ত বাসিন্দাদের সবাইকে প্রাথমিকভাবে সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ওই উদ্যোগের সূচনা হিসাবেই দ্বিতীয় খন্ড করলার বাসিন্দাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, ওই কার্ড দেখিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা সহ বিভিন্ন সরকারী পরিষেবার জন্য পুরানো ছিটমহলের বাসিন্দারা আবেদন জানাতে পারবেন। কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে মূল ভূখন্ডে যাতায়াতের সমস্যাও এড়ান যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy