মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি স্পোর্টস ভিলেজের ইন্ডোর স্টেডিয়ামের তালা খোলেনি এখনও।
গত ৫ মে উত্তরকন্যায় জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছিলেন, ইন্ডোর স্টেডিয়াম প্রতিদিন খোলা থাকবে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জলপাইগুড়িতে এসে স্টেডিয়াম উদ্বোধনের পরেও, কেন তালাবন্ধ হয়ে রয়েছে তা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সে দিনই বৈঠকের পরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, ক্রীড়া দফতর এবং জলপাইগুড়ির জেলাশাসক বৈঠক করেন। স্টেডিয়ামটি দ্রুত ক্রীড়া দফতরকে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও, এ দিন বুধবারও স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গিয়েছে দরজা বন্ধ। কবে স্টেডিয়ামের দরজা খুলবে তা জানাতে পারেনি জেলা প্রশাসন এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক পৃথা সরকার বলেন, ‘‘স্টেডিয়ামটির দায়িত্ব ক্রীড়া দফতর নেবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে। স্টেডিয়ামটি দ্রুত খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে আমরাও যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছি।’’ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের যুগ্ম সচিব টি ডি শেরপা বলেন, “ক্রীড়া দফতরের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তাব চলে গিয়েছে। এর মধ্যে আমাদের কাছে কোনও খেলার আবেদন আসেনি। যদি এখন খেউ খেলার প্রস্তাব পাঠায়, সেইমতো পদক্ষেপ হবে।’’
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী স্টেডিয়াম উদ্বোধন করার পরেও উত্তরবঙ্গ উৎসবের প্রতিযোগিতা মূলক ক্রীড়া অনুষ্ঠান এবং দু’দিনের ব্যাটমিন্টন টুর্নামেন্ট ছাড়া অন্য কোনও খেলা স্টেডিয়ামে হয়নি। উত্তরকন্যার বৈঠকে ছিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজয় বর্মনও। তিনি বলেন, ‘‘শুনেছি কয়েকটি ছোট কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলি শেষ হলেই স্টেডিয়াম খোলায় আর কোনও বাধা থাকবে না।’’
দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে পর্যন্ত অনুশীলনের অনুমতি দেওয়ার দাবি তুলেছে ক্রীড়া সংগঠনগুলি। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব অঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, “পরিবর্তিত ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত আমরা ইন্ডোরের ভিতরে অনুশীলনের ব্যবস্থা করতে আগ্রহী। এ বিষয়ে লিখিতভাবে আমরা আবেদন করব।’’ ক্রীড়া সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্টু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ আমরা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে রাজি আছি। না হলে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy