বামনডাঙা টন্ডু চা বাগানে গিয়েছিলেন জেলাশাসক। শ্রমিকরা অভিযোগ জানান, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কম। চা বাগানের দু’প্রান্তে দু’টি স্কুল। তার মধ্যে একটিতে পড়ুয়া বেশি থাকলেও শিক্ষকের সংখ্যা কম। জেলাশাসক নির্দেশ দেন, যত দ্রুত সম্ভব লাগোয়া যে কোনও স্কুল যেখানে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি, সেখান থেকে শিক্ষক পাঠাতে হবে চা বাগানের স্কুলে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই বাগানের স্কুলের শিক্ষক ঘাটতি পূরণ হয়। সেই মডেলেই জলপাইগুড়ি জেলার চা বাগানের সব স্কুলের শিক্ষক ঘাটতি পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই কাজও শুরু হয়েছে।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া বলেন, “প্রশাসনের তরফে নিয়ম করে বিভিন্ন চা বাগানে যাওয়া হচ্ছে। বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গেও কথা বলা হয়। তাতেই নানা বিষয় উঠে আসছে। তার মধ্যে চা বাগানের স্কুলগুলির পরিকাঠামো সম্পর্কেও জানা যাচ্ছে।”
জলপাইগুড়ি জেলায় ৮৯টি ব়ড় চা বাগান রয়েছে। চা বাগানের ভিতরে একাধিক প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, চা বলয়ে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা প্রায় বারোশো।