অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মহিলা ও শিশুদের দেওয়া হয়েছিল খিচুড়ি। এক মহিলার খিচুড়িতে পাওয়া গেল সেদ্ধ শুঁয়োপোকা। এমনই অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কলমপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। শনিবার সকালের ঘটনা। ওই কেন্দ্রে আগেও খাবারে একাধিক বার আরশোলা মিলেছিল বলে অভিযোগ। কেন্দ্রে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলে এ দিন বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিদর্শনে গেলে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সুপারভাইজ়ারও। খিচুড়িতে শুঁয়োপোকার বিষয়টি জেনে তিনিও বিস্ময় প্রকাশ করেন। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক আব্দুস সাত্তার। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রান্নার পরে মহিলা ও শিশুদের খিচুড়ি দেওয়া হয়। শিশুকে নিয়ে কেন্দ্রে আসা এক মহিলা তাঁর থালায় সেদ্ধ শুঁয়োপোকা দেখতে পান। রিঙ্কু দাস নামে ওই মহিলা বলেন, ‘‘আগেও এখানে খাবারে আরশোলা মিলেছিল। অপরিচ্ছন্ন ভাবে রান্না করা হয়। আমি ছেলেকে নিয়ে এসেছিলাম। আমার থালায় খিচুড়িতে শুঁয়োপোকা দেখতে পাই।” বিষয়টি জানাজানি হতেই সকলেই খাবার ফেলে দেন। অভিযোগ, কেন্দ্রের কর্মী নিয়মিত আসেন না। এ দিনও তিনি ছিলেন না। ছিলেন এক সহায়িকা। হইচই শুরু হতেই সেখানে পৌঁছন সুপারভাইজ়ার রুমি মণ্ডল। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
সুপারভাইজ়ার বলেন, ‘‘এমনটা হওয়া উচিত নয়। এমন খাবার খেলে সমস্যা হতে পারে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট পাঠাব।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)