Advertisement
E-Paper

বেটিং দ্বন্দ্বে ব্লেডের ঘা

আইপিএল বেটিংয়ে রাজি না হওয়ায় ব্লেড দিয়ে এক ব্যক্তিকে আক্রমণের অভিযোগ উঠল মালদহে। রবিবার রাতে ইংরেজবাজারের মিল্কি পঞ্চায়েতের মির্জাচক গ্রামের এই ঘটনায় আহত সফিকুল শেখ মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি। অভিযুক্ত আন্নুর শেখ ও সাদ্দাম শেখ পলাতক। তাদের খোঁজ করছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩৯

আইপিএল বেটিংয়ে রাজি না হওয়ায় ব্লেড দিয়ে এক ব্যক্তিকে আক্রমণের অভিযোগ উঠল মালদহে। রবিবার রাতে ইংরেজবাজারের মিল্কি পঞ্চায়েতের মির্জাচক গ্রামের এই ঘটনায় আহত সফিকুল শেখ মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি। অভিযুক্ত আন্নুর শেখ ও সাদ্দাম শেখ পলাতক। তাদের খোঁজ করছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সফিকুল ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। মাসখানেক আগে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। বুধবার শিলিগুড়িতে কাজে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেই জন্য শ্রমিক সরবরাহকারীর কাছ থেকে আগাম দু’হাজার টাকা পেয়েছেন তিনি। রবিবার রাতে সেই টাকা নিয়েই মিল্কি বাজারে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরুর ম্যাচ দেখছিলেন তিনি। সেই সময় পড়ুশি আন্নুর ও সাদ্দাম তাঁকে কলকাতার হয়ে দুহাজার টাকা বেটিংয়ে লাগানোর জন্য চাপ দেয়। তারাও ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে। অভিযোগ, বেটিংয়ে টাকা লাগাতে রাজি না হওয়ায় বিবাদ বাধে। এর পরেই সফিকুলকে ব্লেড দিয়ে পেটে ও বাঁ হাতে আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়। পরিজনেরা তাঁকে প্রথমে মিল্কি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে মেডিক্যালে ভর্তি করেন।

সফিকুল বলেন, ‘‘কলকাতার দিক থেকে একদিন ৫০ টাকা লাগিয়ে আমি ১০০ টাকা জিতেছিলাম। সেই টাকায় সবাইকে খাইয়ে দিয়েছিলাম। এ দিন আবার আমাকে তারা ২০০০ টাকা লাগাতে বলে। ওই টাকা দিয়ে আমার সংসার চলবে। তাই রাজি হইনি। তার পরেই আমার উপরে হামলা করে।’’ রাতেই মিল্কি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিজনেরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু মিল্কিতেই নয় জেলা জুড়েই আইপিএলে বেটিং চলছে। ফোনের মাধ্যমে পাড়ায় বসেই চলছে বেটিং চক্র। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দুই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে ওই বেটিং চক্রে কারা রয়েছে তা নিয়েও বিশদে খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিশ।

IPL Betting
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy