কলকাতার অ্যাকাডেমি চত্বরে হল গণকনভেনশন। অন্যদিকে, ইংরেজবাজারের রথবাড়ি থেকে ফোয়ারা মোড় পর্যন্ত ধিক্কার ও মোমবাতি মিছিল। সোমবার এই ভাবেই কলকাতা-মালদহ একযোগে সহপাঠীদের উপর হামলার প্রতিবাদে পথে নামলেন মালদহের গনি খান চৌধুরীর নামাঙ্কিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (জিকেসিআইইটি) পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়, গত ২ তারিখ থেকে তাঁরা কলেজের এ ও বি ব্লক বন্ধ করে রেখেছিল। সোমবার তারা সি ব্লকেও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ফলে আজ, মঙ্গলবার কলেজের পঠন-পাঠন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ দিন এই প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের আন্দোলন ৩০ দিনে পড়ল। এদিকে, গত শুক্রবার সি ব্লকেই কলেজের অ্যাকাডেমিক ডিনের সঙ্গে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বৈঠককে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল কলেজ চত্বর। এ দিন সন্ধেয় কলকাতার গণকনভেনশনে বিপ্লব ভট্টাচার্য, শাশ্বতী ঘোষ, নিশা বিশ্বাস, দেবশ্রী চক্রবর্তী, স্বপন মণ্ডল বক্তব্য রাখেন। পড়ুয়ারাই জানিয়েছেন, বক্তারা সকলেই পড়ুয়াদের সমস্যা মেটাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। শুক্রবার কলেজে ছাত্রছাত্রীদের উপর যে ঘটনা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপেরও দাবি জানিয়েছেন।
এ দিনই দুপুরে মালদহে কলেজের সি ব্লকে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। সন্ধে ৬টা থেকে পড়ুয়ারা ইংরেজবাজার শহরের রথবাড়ি তথা গনি খান চৌধুরীর মূর্তির সামনে থেকে ধিক্কার মিছিল শুরু করে। পরে সেই মিছিল ফোয়ারা মোড়ে এসে শেষ হয়। সেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে ডিরেক্টরের পদত্যাগ ও শুক্রবারের ঘটনায় জড়িত শিক্ষক, কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের গ্রেফতারেরও দাবি জানান প্রতিবাদীরা। পরে তাঁরা সেখান থেকে মোমবাতি মিছিলও করেন। এদিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষ এক প্রেস বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, গত শুক্রবারের গোলমালের নানা ছবি এবং কলেজের একাংশ কর্মীদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সেসব ভিত্তিহীন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেসব ছড়ানো বন্ধ করার অনুরোধ করেছেন কলেজের সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুর রেজ্জাক।