ভোট প্রচারে গিয়ে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের উদ্যোগে তৈরি ‘জনগণের’ মঞ্চে বক্তব্য রাখলেন বাম নেতারা।
বৃহস্পতিবার দিনহাটা কেন্দ্রের প্রার্থী অক্ষয় ঠাকুরের সমর্থনে মধ্য মশালডাঙা এলাকায় ভোট প্রচারে যান। সেখানেই বাসিন্দারদের তরফে নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে করা মঞ্চে গিয়ে বিভিন্ন দাবি পূরণে পাশে থাকার আবেদন জানান হয়। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক তারিণী রায়, যুবলিগের রাজ্য সম্পাদক আবদুর রউফ, সিপিএম নেতা তারাপদ বর্মন প্রমুখ বাসিন্দাদের আর্জি মেনে ওই মঞ্চে যান। দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী অবশ্য কয়েকদিন আগে ওই এলাকায় ভোট প্রচারে গেলেও বাসিন্দাদের তৈরি মঞ্চে যাননি। ফলে এ দিন বাম নেতাদের ওই মঞ্চে বক্তব্য রাখার ঘটনায় রাজনৈতিক আলোড়ন গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক তারিণী রায় বলেন, “ছিটমহল বিনিময়ের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছি। তাই বাসিন্দাদের তরফে মঞ্চে ওঠার আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে আপত্তির ব্যাপার ছিল না। ওই এলাকার বাসিন্দাদের সমস্ত নাগরিক পরিষেবা ও অধিকার আদায়ে পাশে থাকার কথা বলেছি।” ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব লিগের রাজ্য সম্পাদক আবদুর রউফ বলেন, “ওই বাসিন্দাদের জমির অধিকারের মত কিছু দাবি আমরা সমর্থন করছি। ওই দাবি আমাদেরও। আমাদের প্রার্থী নির্বাচিত হলে ওই সব দাবি আদায়ে বিধানসভায় সরব হবেন। বাসিন্দারা লিখিত প্রতিশ্রুতি চাইলেও নিয়ম মেনে তা দেওয়া সম্ভব নয়।”
সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের একটি সংগঠন নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত জানান, জমির অধিকার, ছিটমহলের উন্নয়নের সমস্ত কাজ এলাকার বাসিন্দাদের দিয়ে করানো ও চাকরি, ঋণে সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য সংরক্ষণ চালুর ব্যাপারে আমরা সমস্ত দলের কাছেই আবেদন করছি। লিখিত প্রতিশ্রুতিও চাইছি। বাম নেতারা বাসিন্দাদের তৈরি মঞ্চে উঠলেও লিখিত কোনও প্রতিশ্রুতি অবশ্য দেননি। আমরা ওই প্রতিশ্রুতি চাইছি। যারা ওই ব্যাপারে যাঁরা লিখিত প্রতিশ্রুতি দেবেন তাদের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় ভোট প্রচারে গেলে কিছুদিন আগে তৃণমূলের দিনহাটা কেন্দ্রের প্রার্থী উদয়ন গুহকেও ওই মঞ্চে গিয়ে বক্তব্য রেখে প্রতিশ্রুতি চান এলাকার বাসিন্দারা। উদয়নবাবু অবশ্য ওই মঞ্চে যাননি। এ দিন উদয়নবাবু বলেন, “একটি সংগঠনের ব্যানার মঞ্চে ছিল। সেখানে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখায় সমস্যা ছিল বলে সেখানে যাইনি। তবে ছিটমহলের বাসিন্দাদের পাশে আগে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।” তারিণীবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘এ সব আমি জানতাম না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy