অমিত শাহের সভার প্রস্তুতি আলিপুরদুয়ারে। নিজস্ব চিত্র
আজ, শুক্রবার আলিপুরদুয়ার শহরে জনসভা করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ কিন্তু তাঁর ওই জনসভা কি প্রার্থী নিয়ে দলের অন্দরে জ্বলতে থাকা ক্ষোভের আগুন নেভাতে পারবে? অমিতের সভার ঠিক আগে সেই প্রশ্নই ঘুরছে বিজেপির অন্দরে। যদিও জেলা বা রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, জন বার্লাকে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে প্রার্থী করা নিয়ে বিজেপিেত কোনও ক্ষোভ নেই।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে জন বার্লার নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করে বিজেপির অন্দরে। দলীয় সূত্রের খবর, এই নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে জনের চেয়েও বেশি দাবিদার ছিলেন মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, কুমারগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ ওরাঁও বা গত লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী বীরেন্দ্র ওরাওঁ। কিন্তু কর্মীদেরই অনেকের অভিযোগ, জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ শুরু থেকেই জনকেই প্রার্থী হিসেবে চাইছিলেন৷ যার জেরে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও তাঁকেই প্রার্থী করেন।
এই ঘটনায় বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ বেড়ে যায় বলে দল সূত্রে খবর৷ বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের একাংশের অভিযোগ, এক সময় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ ছেড়ে জন বার্লা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন৷ এই অবস্থায় সেই জনকেই দল প্রার্থী করায় জনজাতি অধ্যুষিত এলাকার একটা বড় অংশের ভোট বিজেপির হাতছাড়া হবে৷ একইভাবে আলিপুরদুয়ারে বিজেপির গোর্খাদের ভোটেও তৃণমূল থাবা বসাবে অভিযোগ তোলেন তাঁরা৷ এই সুযোগকে ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই জনের বিরুদ্ধে জোর প্রচারেও নেমে পড়েছে তৃণমূল৷ জেলার বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল নেতারা অভিযোগ তুলছেন, একে তো জন বার্লা জনজাতি অধ্যুষিত এলাকার মানুষকে ধোঁকা দিয়েছেন, তার পাশাপাশি বাংলা ভাগের চক্রান্তেও তিনি জড়িত৷ এই অবস্থায় মানুষ তাঁকে ভোট দেবেন না বলে দাবি তৃণমূলের।
যদিও বিজেপি নেতৃত্বের আশা, শুক্রবার অমিত শাহর জনসভার পর দলের অন্দরে থাকা ক্ষোভ বা বিরোধীদের অপপ্রচার সবই মুছে যাবে৷ দলের এক জেলা শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অনেকেই থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একজনই প্রার্থী হন৷ যার ফলে বাকিদের কেউ কেউ মনোঃক্ষুণ্ণ হন৷ কিন্তু অমিত শাহের মত শীর্ষস্তরের নেতারা এসে দলের প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করলে, বাকিদের সেই ক্ষোভও মিটে যায়।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে প্রকাশ্যে অবশ্য জন বার্লাকে প্রার্থী করা নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভের কথা মানতে চাননি বিজেপির রাজ্য বা জেলার নেতারা। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “জন প্রার্থী হওয়ায় আমাদের দলে কোনও ক্ষোভ নেই৷ ক্ষোভ হয়তো তৃণমূলের অন্দরে থাকতে পারে৷” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “গোর্খাল্যান্ডের অন্যতম প্রবক্তা বিনয় তামাংকে জিটিএতে বসিয়েছে তৃণমূল৷ তারপর আবার অমর রাইয়ের মত একজনকে প্রার্থী করেছে তারা৷ এ থেকেই তৃণমূল সম্পর্কে মানুষ যা বোঝার বুঝে নিয়েছে৷ তাই ওদের মিথ্যা প্রচার কেউ মানবেনা৷” বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দাবি, “জনকে জেতাতে দলের সর্বস্তরের সব নেতা-কর্মীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছেন৷”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy