Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্র রুখতে দুই রাজ্যের বৈঠক

রাজনৈতিক হানাহানি বা সংঘর্ষ কার্যত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। সেই অশান্তিতে গুলি-বোমা চালাচালি হচ্ছে মুড়িমুড়কির মতো।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইসলামপুর শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ০৫:৪৬
Share: Save:

রাজনৈতিক হানাহানি বা সংঘর্ষ কার্যত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। সেই অশান্তিতে গুলি-বোমা চালাচালি হচ্ছে মুড়িমুড়কির মতো। এবং সংঘর্ষের জেরে খুনের ঘটনাও ঘটছে আকছার। এই ঘটনা চলছে বছরখানেক ধরে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, পুলিশ প্রশাসন থেকেও প্রশ্ন উঠেছে, চোপড়া, ইসলামপুরের মতো এলাকায় কত বেআইনি অস্ত্র জমে রয়েছে। তার চেয়েও উদ্বেগের হল, কোথা থেকে এত অস্ত্র আসছে।

গত সোমবারই চোপড়ার লক্ষ্মীপুরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে এক যুবক নিহত হন। কদিন আগে চোপড়ার কালাগছে জাতীয় সড়কে দুষ্কৃতী-গুলিতে এক পুলিশকর্মী নিহত হন। সাবির আলম নামে ওই পুলিশকর্মী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে টহল দিচ্ছিলেন। দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই ঘটনার এখনও কিনারা করতে পারেনি। ইসলামপুরে কিছুদিন আগে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করে। ইসলামপুরের পণ্ডিতপোতা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গত মাসে চোপড়ার লক্ষ্মীপুরে দু’দলের গুলির লড়াই হয়েছে। জেলা জুড়ে যেভাবে দুষ্কৃতীদের হাতে মুড়িমুড়কির মতো বোমা-বন্দুক ও পিস্তল ঘুরছে, তাতে টনক নড়েছে পুলিশের শীর্ষকর্তাদেরও। বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে জোরদার অভিযান চালাতে জেলার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের উত্তরবঙ্গ আইজি আনন্দ কুমার। মঙ্গলবার ইসলামপুরে এক বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন আইজি।

মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং দার্জিলিং জেলার একটা অংশ বিহার সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় প্রায়ই। বৈঠকে বিহারের কিসানগঞ্জ, পূর্ণিয়া এবং কাটিহার জেলার পুলিশ আধিকারিকরাও ছিলেন। সূত্রের খবর, দুই রাজ্যের দাগী অপরাধীদের তালিকা আদানপ্রদান হয়। বৈঠকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে আলোচনা হয়। স্থির হয়েছে, অপরাধ রুখতে এ রাজ্যের পুলিশ বিহার পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার ও দুষ্কৃতীদের ধরার অভিযানে আইজির এই নির্দেশ ভোট উপলক্ষে হলেও গত কয়েকমাসের ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে সেটা যথেষ্ট গুরত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন জেলার পুলিশ আধিকারিকেরা। অভিযোগ, গত কয়েকমাসে বেআইনি অস্ত্র বোমা উদ্ধারে পুলিশের ঢিলেঢালা মনোভাবেই পরিস্থিতি এ রকম গুরুতর হয়ে উঠেছে। যেভাবে দুষ্কৃতীদের হাতে প্রচুর অস্ত্র মজুত হয়েছে, তাতে ভোটের মুখে আরও বড় গোলমালের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Politics Lok sabha Election 2019 Weapons
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE