Advertisement
E-Paper

এক সভায় উজ্জীবিত 

মৌসমের সেই খাসতালুক উত্তর মালদহের চাঁচলে শনিবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গাঁধী জনসভা করায় উজ্জীবিত কংগ্রেস শিবির।

অভিজিৎ সাহা 

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯ ০৫:৪১
 পা-ছুঁয়ে: সর্বভারতীয় সভাপতিকে প্রণাম কোচবিহারের প্রার্থী প্রিয়া রায়চৌধুরীর। ছবি: সন্দীপ পাল

পা-ছুঁয়ে: সর্বভারতীয় সভাপতিকে প্রণাম কোচবিহারের প্রার্থী প্রিয়া রায়চৌধুরীর। ছবি: সন্দীপ পাল

ভরাডুবি ঘটেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। দলবদলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন টানা দু’বারের সাংসদ মৌসম নুর। রাজনীতিতে গড় হিসেবে পরিচিত মালদহেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে কংগ্রেস। মৌসমের সেই খাসতালুক উত্তর মালদহের চাঁচলে শনিবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গাঁধী জনসভা করায় উজ্জীবিত কংগ্রেস শিবির।

এ দিনের সভার ইতিবাচক ফল মালদহের পাশাপাশি রায়গঞ্জেও মিলবে বলে দাবি কংগ্রেস নেতাদের। তাঁদের দাবি, মালদহ যে আদতে কংগ্রেসেরই ঘাঁটি, এ দিন সভায় রাহুলের উপস্থিতি, তাঁর সবায় জনসমাগম সেটারই প্রমাণ দিল। তাই নিজেদের গড় ধরে রাখার বিষয়ে আশাবাদী তাঁরা। যদিও আগামী সোমবারের পাল্টা সভায় দ্বিগুন জমায়েত করে দেখিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল শিবির।

মালদহে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে থাবা বসিয়েছে তৃণমূল। মালদহ জেলা পরিষদ, একাধিক পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল একক ভাবে দখল করেছে। প্রথম স্থান হারানোর পাশাপাশি এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানও হারিয়েছে কংগ্রেস।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

জেলায় তৃণমূলের পরেই রয়েছে বিজেপি। এমতাবস্থায় গত জানুয়ারিতে তৃণমূলে যোগ দেন মৌসম। তিনি জেলা কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন দীর্ঘদিন। ফলে মৌসম চলে যাওয়ায় জেলায় আরও ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। এবার ওই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করছেন মৌসম। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস থেকে দাঁড়িয়েছেন কোতোয়ালি পরিবারেরই সদস্য ইশা খান চৌধুরী। ওই কেন্দ্রে থেকে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া হবিবপুরের বিধায়ক খগেন মুর্মু প্রার্থী হয়েছেন। সিপিএমও ওই কেন্দ্রে বিশ্বনাথ ঘোষকে প্রার্থী করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে।

এ দিন চাঁচলের সভা থেকে বাম-তৃণমূলকে এক যোগে কটাক্ষ করেন রাহুল। কটাক্ষ করেছেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া মৌসমকেও। ওই কটাক্ষ ভোট ময়দানে কাজে লাগাতে মরিয়া কংগ্রেস নেতারা। প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “গনি পরিবারের সঙ্গে গাঁধী পরিবারের বরাবরই সম্পর্ক ভাল। গাঁধী পরিবার মৌসমকে স্নেহও করতেন। তবে মৌসমের দলবদলকে গাঁধী পরিবার যে ভালো ভাবে নেয়নি, তা এদিন রাহুলের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট।” ওই কেন্দ্রের প্রার্থী ইশা বলেন, “কোতোয়ালি পরিবার থেকে আগেও কংগ্রেস ছেড়ে অনেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের ফল ভাল হয়নি। মালদহের মানুষ জানেন, কোতোয়ালি মানেই কংগ্রেস। আর কংগ্রেস ছেড়ে গেলে মানুষ তাঁকে জবাব দেবেই।”

চাঁচলের সভা থেকে রায়গঞ্জেও কংগ্রেসের সুবিধে হবে বলে দাবি নেতাদের। তাঁদের দাবি, উত্তর মালদহ আগে রায়গঞ্জের লোকসভার অধীনে ছিল। ফলে সেখানেও কর্মী-সমর্থকেরা উজ্জীবিত হবেন বলে আশাবাদী কংগ্রেস।

Lok Sabha Election 2019 লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ Rahul Gandhi Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy