রাহুলের সভা সফল করতে প্রস্তুতি কমিটি

এ যেন মেয়ের বিয়ে! রাহুল গাঁধীর সভা নির্বিঘ্নে সারতে কনের বাবার মতোই সতর্ক কংগ্রেসের ছোট-বড় এবং মেজো নেতারা!

দু’টো চিন্তা। এক, রাহুলের সভায় মাঠ ভরিয়ে ফেলতে হবে। দুই, সভা সামগ্রিক ভাবে সফল করতে হবে। আর এ জন্য মহকুমা প্রস্তুতি কমিটি গড়েছে কংগ্রেস। মূল সংগঠন ছাড়াও শাখা সংগঠনগুলির নেতাদের নিয়ে ৭০ জনের প্রস্তুতি কমিটি তৈরি হয়েছে। যাতে চাঁচল মহকুমার ছ’টি ব্লকের সভাপতি, বিধায়কেরা ছাড়াও যুব কংগ্রেস, মহিলা কংগ্রেস, সেবাদল, শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতিরাও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার চাঁচলের তরলতলায় দলীয় কার্যালয়ে এই কমিটির সভা হয়। সূত্রের খবর, সভার মঞ্চ সাজানো, রাহুল গাঁধীকে স্বাগত জানানো, রাজ্য নেতাদের দেখভাল ও যানবাহন কোথায় দাঁড়াবে তা দেখতে এই কমিটি থেকে ভাগে ভাগে সকলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ, মতো বড়ো মাপের নির্বাচনী সভা চাঁচলে আগে হয়নি। ফলে, তা সুষ্ঠ ভাবে করতে আঁটঘাঁট বেঁধে ময়দানে নামছে কংগ্রেস।

আগামী ২৩ মার্চ চাঁচল কলমবাগানে ওই জনসভা হওয়ার কথা। এর মধ্যে জেলা প্রশাসন রাহুলের হেলিকপ্টার নামারও অনুমতি দিয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক ইন্দ্রনারায়ণ মজুমদার বলেন, শুধু দর্শক টানাই নয়, সভা যাতে সুষ্ঠ ভাবে হয় সেদিকেও জোর দিচ্ছি।

কমিটি সূত্রে খবর, প্রস্তুতি কমিটির সভায় পৃথক ভাবে রাহুল গাঁধীর জন্য রিসেপশন কমিটি গড়া হয়েছে। সভায় হাজির থাকার কথা রাজ্যের একাধিক নেতার। সব মিলিয়ে ৫০ জনের টিফিনের বন্দোবস্ত থাকছে। মাঠের কোন দিকে, কী ভাবে মঞ্চ হবে, যানবাহন কোথায় থাকবে তার জন্যও পৃথক কমিটি থাকছে। দুপুর তিনটেয় চাঁচলে রাহুল গাঁধীর হেলিকপ্টার পৌঁছনোর কথা। সভা শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। রাহুলের বক্তব্যের আগে কোন কোন নেতারা বক্তব্য দেবেন, তা দেখার জন্যও একটি দল গড়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার থেকেই দেওয়াল লিখন, ফ্লেক্স, ফেস্টুনে প্রচার শুরু হয়। শুক্রবার থেকে ট্যাবলো ও মাইকে মহকুমা জুড়ে প্রচার চালানো শুরু হয়। সূত্রের খবর, ব্লক সভাপতিরা স্থানীয় নেতাদের নিয়ে সমর্থকদের বাড়ি গিয়ে আগাম তালিকা তৈরি করবেন। সভায় ভিড় টানতেও শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।

সভায় রেকর্ড ভিড় নিয়ে আশাবাদী জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম। তবে, এক সময়ে শক্ত ঘাঁটি মালদহে কংগ্রেসের ভিত অনেকটাই আলগা হয়েছে। ফলে সভায় কত দর্শক হবে, তার জন্য রাহুলের সভার দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব।