তখন জলপাইগুড়িতে প্রচারে। ফাইল ছবি
ভাগ্নি ভোট প্রার্থী! সেই কেন্দ্রে কেমন হাওয়া বইছে তা বুঝতে দলবল নিয়ে কলকাতা ছুটছেন মামা! যাদবপুর লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী আদতে জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার মেয়ে। নিজের প্রচারের মাঝেই ক’দিন আগেই এসেছিলেন নিজের শহরে। প্রচার করেন। তার পরে ভোটও দেন। মিমির মামা রাম চক্রবর্তী জলপাইগুড়ি তৃণমূলের প্রথম দিকের সদস্য। বুধবার কয়েক জন সঙ্গীকে নিয়ে তিনি রওনা দিয়েছেন কলকাতা। উদ্দেশ্য, সাধারণ মানুষ কী ভাবছেন, তা বুঝে ভাগ্নিকে প্রতিদিন জানানো। আগামী মঙ্গলবার থেকে বিধানসভা ধরে ধরে সমীক্ষা চালাবেন তাঁরা।
রাম চক্রবর্তী বললেন, “যাদবপুরে ভোট ১৯ মে। মোটামুটি দশ দিন আগে থেকে ভোটের হাওয়া জোর বইবে। ওই সময়টায় নিজেদের পরিচয় না দিয়ে ঘুরে বেড়াব যাদবপুর লোকসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে। আমরা অচেনা মুখ, তাই লোকের আলোচনাতে সহজেই ঢুকে যেতে পারব।” এই পরিকল্পনা একেবারেই মামার নিজস্ব। দীর্ঘদিন রাজনীতি করে রামের দাবি, ভোটের সময় মানুষ কী ভাবছে, তার আঁচ মেলে চায়ের দোকানের আড্ডায়। পরিচিত নেতা-কর্মীদের দেখলে সে আলোচনা থেমে যায়। সেই সব আলোচনার নির্যাস প্রার্থী বা দল জানতে পারলে তারা সমীকরণ বদলাতে পারে। রাজনীতিতে নতুন ভাগ্নি মনাইকে (এ নামেই রামবাবু মিমিকে ডাকেন) সেই সুবিধে পাইয়ে দিতে কলকাতায় চক্কর কাটবেন রাম ও তাঁর সঙ্গীরা।
দুই সোনারপুর, বারুইপুর, ভাঙড় এবং যাদবপুর বিধানসভায় প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে রাত পর্যন্ত সমীক্ষা চলবে। কিছু প্রশ্নও বাছা হয়েছে, যেগুলি আড্ডার ছলে বাসিন্দাদের থেকে জেনে নিতে হবে। তার মধ্যেই ভোটের শেষ মুহূর্ত কোন কোন ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে, তার ইঙ্গিত উঠে আসবে বলে দাবি। যদিও কি প্রশ্ন করা হবে তা ভাঙতে চাইলেন না অভিনেত্রীর মামা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাম চক্রবর্তীর সঙ্গে রয়েছেন জলপাইগুড়ির আর এক তৃণমূল নেতা বিকাশ মালাকার। থাকছেন পাণ্ডাপাড়ার আরও কয়েক জন বাসিন্দা। আপাতত এখন এলাকা চেনার কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই জোরকদমে কাজ শুরু হবে। জলপাইগুড়ির জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় যাদবপুরে গিয়ে প্রচার করেছেন। ৭ মে থেকে যাদবপুরে প্রচার করতে যাওয়ার কথা জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর। ক’দিন আগে জলপাইগুড়ির বাড়িতে এসেছিলেন মিমি। সে সময় পাণ্ডাপাড়ার একটি ক্লাবও মিমিকে জানায়, তারাও যাদবপুরে প্রচারে যেতে ইচ্ছুক। আগামী সপ্তাহে তাদেরও ডাক আসতে পারে। ‘ঘরের মেয়ে’কে জেতাতে সকলেই এখন যাদবপুরমুখী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy