অফিসফেরত যাত্রীদের বিপাকে ফেলে ফের বিভ্রাট মেট্রো পরিষেবায়। সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে আধ ঘণ্টারও বেশি সময়ে ধরে বন্ধ থাকল দক্ষিণেশ্বর এবং ময়দানের মাঝে মেট্রো চলাচল।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এই সমস্যা শুরু হয়। আচমকাই দক্ষিণেশ্বর এবং ময়দানের মাঝে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাত ৮টা ৫মিনিটে ফের চালু হয় পরিষেবা। কী কারণে এই আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই দীর্ঘ পথে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কলকাতা মেট্রোর শুধু তরফে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ ছিল।
দক্ষিণেশ্বর এবং শহিদ ক্ষুদিরাম সংযোগকারী এই লাইনটি কলকাতা মেট্রোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লাইন। মেট্রোর এই লাইনেই যাত্রীদের ভিড় সবচেয়ে বেশি থাকে। সন্ধ্যায় অফিসফেরত যাত্রীদের ভিড় থাকে যথেষ্ট। শহরের যানজট এড়িয়ে স্বল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছোনোর জন্য যাত্রীরা মেট্রো পরিষেবা ব্যবহার করেন। অথচ সেই মেট্রো লাইনেই ফের বিভ্রাট হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। অফিস ছুটির সময়ে মেট্রোর এই বিভ্রাটে ভোগান্তির শিকার হতে হয় বহু যাত্রীকে।
মেট্রোর এই লাইনটি ব্যবহার করে বহু যাত্রী দমদম থেকে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছোনোর ট্রেন ধরেন। সমস্যায় পড়েছেন তাঁরাও। ময়দান এবং দক্ষিণেশ্বরের মাঝে মেট্রো পরিষেবা আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থা করতে হয়েছে যাত্রীদের। অনেকেই মেট্রো পরিষেবা সচল হওয়ার অপেক্ষা না করে বাসে বা ট্যাক্সিতে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
পরিষেবা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া মেট্রো কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকে। ব্যারাকপুরের বাসিন্দা মনোরঞ্জন মিত্র যেমন বলেই দিচ্ছেন, “এ তো মেট্রোর নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” রবীন্দ্রসদন থেকে মেট্রো ধরে দমদম গিয়ে ট্রেন ধরেন তিনি। পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছে মনোরঞ্জনকে। মেট্রো পরিষেবা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করে তিনি বলেন, “মাঝে মাঝেই দমদম ঢোকার আগে মেট্রোয় ঘোষণা করে দেয়, ওটাই শেষ স্টেশন। আর যাবে না। মানুষের সময়ের যেন কোনও মূল্যই নেই ওদের কাছে।”