কংগ্রেস, বাম এবং তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। জোরদার প্রচার, জনসভা শুরু হয়ে গিয়েছে। অথচ বিজেপি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা না হওয়ায় জেলা নেতারা উদ্বিগ্ন। সম্ভাব্য প্রার্থী বলে কয়েকটি নাম শোনা গেলেও জেলা নেতারা তা নিয়ে বিভ্রান্ত। তাতে বিপাকে পড়েছে গেরুয়া শিবির। তাঁরা না পারছেন দেওয়াল লিখন করতে, না পারছেন ফ্লেক্স ব্যানার ছাপাতে। অথচ ভোটের দিন এগিয়ে আসছে।
রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, উত্তর মালদহের মতো লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি ভাল ফলের আশা করছে। কিন্তু তার জন্য ভাল প্রার্থীও দরকার। বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাস বলেন, ‘‘সম্ভাব্য অনেক নাম শোনা গিয়েছে। সে সব নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে এটা ঠিক ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত দলের সমস্ত স্তরের কর্মীদের প্রচারে নামানো যাচ্ছে না। দ্রুত নাম ঘোষণা হবে বলে আমরা আশাবাদী।’’
একই ভাবে ভোটের পারদ চড়লেও প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় হতাশ বালুরঘাটের নেতাকর্মীদের অনেকে। তাঁদের দাবি, প্রার্থী ঘোষণা পিছিয়ে যাওয়ায় কর্মীদের উৎসাহ, উদ্দীপনা কমছে। বাসিন্দাদের মধ্যে নেতিবাচক আলোচনা চলছে। ভোট বাক্সে তা প্রভাব ফেলতে পারে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বালুরঘাট কেন্দ্রে চার বারের সাংসদ আরএসপির রণেন বর্মন, তৃণমূলের গতবারের সাংসদ অর্পিতা ঘোষ প্রার্থী হয়েছেন। প্রচার চলছে তাঁদের। কংগ্রেসও প্রার্থী জানিয়েছে। শুরুতে বিজেপির দেওয়াল লিখনে উদ্যোগী হলে প্রার্থীর ঘোষণার অভাবে ওই কাজে ভাটা পড়েছে। তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতার কটাক্ষ, ‘‘বিজেপি ২৩ মে-র পরে প্রার্থী তালিকা বের করবে।’’ বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার, কংগ্রেস থেকে আসা নীলাঞ্জন রায়, বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরীর মতো নাম ভাসছে। তা নিয়ে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের অনেকেই বিভ্রান্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘এই কেন্দ্রে আমাদের একটা জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। ভোটেরও বেশি দেরি নেই। মানুষের মধ্যেও বিজেপি নিয়ে চর্চাও হচ্ছে। এখনও প্রার্থী তালিকা ঝুলিয়ে রাখায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারের দাবি প্রার্থী তালিকা শীঘ্রই ঘোষণা হবে। প্রার্থী নাম জানতে না পারায় মালদহেও বিপাকে গেরুয়া শিবির।