তৃণমূল আয়োজন করেছে ডিম-ভাতের, সিপিএম রয়েছে মাছে-ভাতে, কংগ্রেসের ফ্রায়েড রাইস এবং মাংস। বিজেপি আমিষে নেই। ভোট গণনায় তাদের এজেন্ট এবং কর্মীদের দু দিন ধরে পনিরের তরকারি খাওয়াচ্ছে গেরুয়া শিবির।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে জলপাইগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ভোট গণনা শুরু হবে। এ বছর কমিশনের জারি করা নতুন কিছু নির্দেশিকার জেরে গণনা প্রক্রিয়া সারতে রাত হয়ে যাবে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গণনায় থাকা এজেন্টদের খাবারের ব্যবস্থা করার নির্দেশ কমিশনের নেই। রাজনৈতিক দলগুলিই নিজেদের কর্মীদের জন্য টিফিন-খাবারের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু অন্য দলগুলি আমিষ আয়োজন করলেও বিজেপি নিরামিষেই আস্থা রাখছে। তা নিয়ে কটাক্ষ-অভিযোগ করতে ছাড়ছে না অন্য দলগুলি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, “বিজেপি বরাবরই কে কী খাবে তা তার উপর ছেড়ে না দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। দেশসুদ্ধু সকলকে আমিষ ছেড়ে নিরামিষ খাওয়ার ফতোয়া দিতে চায় ওই দলের নেতারা। নিজেদের দলের কর্মীদেরও ছাড়ছে না।” গণনায় ভাল ফল হলে রসগোল্লার পরিবর্তে লাড্ডু বিলির নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি। তাতেও কটাক্ষ করে তৃণমূল অভিযোগ করেছিল উত্তর ভারতের সংস্কৃতি বাংলায় আমদানি করতে চাইছে বিজেপি। এ বার লাড্ডুর সঙ্গে পনীর।