প্রতীকী চিত্র
কোন এলাকায় তাঁদের পক্ষে কত ভোট এল, বা কত ভোট বিজেপির ঝুলিতে গেল তার হিসেব কষতে প্রতি বিধানসভা এলাকা ধরে ধরে অঞ্চল ও বুথ স্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব।
বুধবার কালচিনি বিধানসভা দিয়ে এই বৈঠক শুরুও করে দিয়েছেন তাঁরা। দল সূত্রে খবর, বিধানসভা নির্বাচন হতে এখনও বছর দু’য়েক দেরি থাকলেও, এই বৈঠকগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় সংগঠনের ফাঁক-ফোকরগুলিও খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা নেতারা। তাতে এখন থেকেই সেগুলি সংশোধন করার পথে নামা যাবে বলে জানাচ্ছেন নেতাদের অনেকে।
বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে লোকসভা ভোট হয়ে গিয়েছে। ভোটের আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের নেতারা বারবার করে আড়াই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয় লাভের দাবি করেছিলেন। ভোটের পরেও একই দাবি করেন অনেকে। তবে বাস্তবে কোন এলাকায় তাঁদের পক্ষে কত ভোট পড়ল, কত ভোটই বা বিরোধীদের দিকে গেল, তা জানতে এ বার ময়দানে নামলেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। বুধবার কালচিনিতে এ নিয়ে প্রথম বৈঠক করেন তাঁরা। ওই বৈঠকে কালচিনি বিধানসভা এলাকার প্রতিটি অঞ্চল ও বুথ স্তরের নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মাও। তিনি জানান, “কোন এলাকায় কেমন ভোট হল, তা স্থানীয় স্তরের নেতা-কর্মীরাই সবচেয়ে ভাল জানেন। সে জন্যই এই বৈঠক। তবে শুধু কালচিনিতেই নয়৷ জেলার বাকি বিধানসভা এলাকাতেও এমন বৈঠক হবে।”
দল সূত্রে খবর, বিধানসভা এলাকা ধরে ধরে বৈঠকগুলি থেকে কোন এলাকায় দলের কী পরিস্থিতি, তা খুঁজে বের করতে চাইছেন তৃণমূলের জেলা নেতারা। সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে কোথায় কোথায় দুর্বলতা থেকে গিয়েছে এই বৈঠকগুলির মাধ্যমে সেগুলিও বোঝা যাবে বলে দাবি দলের নেতাদের। মোহন বলছেন, “দু’বছর বাকি থাকলেও, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই সেই দুর্বলতা বা ফাঁকফোকরগুলি আমরা কাটিয়ে তুলতে চাই। তাই বৈঠকে এই বিষয়গুলিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে।” এ দিনের বৈঠক থেকেও অবশ্য তৃণমূল নেতারা এ বারের লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে বড় ব্যবধানে জয়ের দাবি করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy