—প্রতীকী ছবি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে থানায় অভিযোগ হল দুই জেলায়। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার—দুই জেলায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছে শাসক তৃণমূল।
ময়নাগুড়িতে বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সদস্যের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ময়নাগুড়ি ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের অভিযোগ, ফেসবুকে ওই পোস্ট ঘিরে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সে কারণেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানান ময়নাগুড়ি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মনোজ রায়।
বিজেপি নেতা অনুপ পাল বলেন, ‘‘ঠিক কী হয়েছে দলগত ভাবে খোঁজ নেব। আমাদের দল কোনও হিংসা বরদাস্ত করে না।’’ ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস জানান, সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ফেসবুক লাইভে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে আলিপুরদুয়ারের এক যুবকের বিরুদ্ধেও। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তৃণমূল ও বিজেপির নেতাদের মধ্যে তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার দুপুরেই তৃণমূলের তরফে আলিপুরদুয়ার থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বেঙ্গালুরু থেকে একটি ফেসবুক লাইভ করেন ওই যুবক৷ সেই ভিডিয়োতে মুখ্যমন্ত্রীর নামে ওই যুবক কুরুচিকর ভাষা প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। তারপরেই শহরে তৃণমূলের অন্দরে আলোড়ন পড়ে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মদন ঘোষ আলিপুরদুয়ার থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ মদন বলেন, “অবিলম্বে ওই যুবককে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের কাছে আমরা আর্জি জানিয়েছি৷”
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে শহরে৷ তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন তা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, এতে বিজেপির প্ররোচনা রয়েছে৷” এই অভিযোগ মানেনি বিজেপি। সৌরভের অভিযোগের উত্তরে বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা পাল্টা বলেন, “আমরা এ ধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণের বিরোধী৷ কিন্তু মনে হচ্ছে, আমাদের বদনাম করতে তৃণমূলই ওই যুবককে উস্কে এই কাজ করিয়েছে৷”
অভিযুক্ত যুবক বলেন, “চিকিৎসার জন্য এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুতে রয়েছি৷ মঙ্গলবার রাতে বেঙ্গালুরু থেকেই একটি ফেসবুক লাইভে ঝোঁকের মাথায় কিছু কথা বলে ফেলি৷ তারপরই বিষয়টি বুঝতে পারি ও সেই পোস্ট মুছে দিই।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চেয়ে পরে আরেকটি পোস্টও করি৷ তবে আমি মদ্যপ অবস্থায় ছিলাম না৷” আলিপুরদুয়ারের এক পুলিশ কর্তা জানান, বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে৷ যার তদন্ত শুরু হয়েছে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy