ডেঙ্গির পাশাপাশি এবার ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিল দক্ষিণ দিনাজপুরে। বৃহস্পতিবার রাতে বালুরঘাট হাসপাতালে ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো এক যুবকের। তপন ব্লকের ডুবাহার এলাকার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম রঞ্জিত ওঁরাও(৩০)। বুধবার প্রবল জ্বর নিয়ে ওই যুবককে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর ভাইও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি।
এ দিন জেলায় নতুন করে ৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন বলে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে গত দু’দিনে ৯ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, মৃত যুবক গোয়াতে শ্রমিকের কাজ করতেন। সেখান থেকে জ্বর নিয়ে বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে রেখে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। শেষমুহূর্তে হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন তিনি ভুল বকছিলেন। তার ভাইও প্রবল জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তবে তাঁর অবস্থা অনেকটাই ভালো। ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ফেরা যুবকদের রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। প্রত্যেকের চিকিৎসা চলছে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন।
এরই মধ্যে ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার প্রকোপে উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতর এ দিন তপন ব্লক সহ সমস্ত এলাকার পঞ্চায়েত এবং বিএমওএইচ-দের সতর্ক করে দেন। এলাকায় মশা নিধন এবং জঞ্জাল সাফাই অভিযানে নামতে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এ দিন ডেঙ্গি আক্রান্ত কুমারগঞ্জের পিরোজপুরে স্বাস্থ্য কর্মীদের একটি দল গিয়ে আশপাশের বাসিন্দাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। মশা মারতে ধোঁয়া দেওয়া হয়। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমারবাবু বলেন, ‘‘তপনের ডুবাহার এলাকায় মৃত যুবক রঞ্জিতদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে সমীক্ষার জন্য শনিবার স্বাস্থ্য কর্মীদের বিশেষ দলকে পাঠানো হবে।’’
পাঁচজন ডেঙ্গি রোগীর সন্ধান মিলল মালদহ জেলায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দু’দিন আগে ৬২ জনের রক্তের ম্যাক-এলাইজা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতেই এই পাঁচজনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছ। জানা গিয়েছে, আক্রান্তরা সকলেই জ্বর নিয়ে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। ডেঙ্গি নিশ্চিত হওয়ার পর শুক্রবার তাঁদের মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত আরও দু’জন রোগী আগে থেকেই এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালের সুপার অমিত দাঁ বলেন, শুক্রবার ৮২ জন রোগীর রক্তের ম্যাক-এলাইজা টেস্ট হয়। আর কোনও রোগীর রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু রয়েছে কেনা তা জানার জন্য রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।