Advertisement
E-Paper

কোচবিহারের নতুন সভাপতি পার্থপ্রতিম

বৃহস্পতিবার তৃণমূলনেত্রী দলের নেতা-বিধায়কদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানেই দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২০ ০৫:৫১
দায়িত্বে: পার্থপ্রতিম রায়।

দায়িত্বে: পার্থপ্রতিম রায়।

গুঞ্জনটা চলছিল সকাল থেকেই। বিকেলের আগে সেটাই সত্যি হল। কোচবিহার জেলা সভাপতির পদে তরুণ রাজবংশী সম্প্রদায়ের নেতা পার্থপ্রতিম রায়কেই বেছে নিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলনেত্রী দলের নেতা-বিধায়কদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানেই দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
এ দিন ওই ঘোষণা হওয়ার পরেই কোচবিহার শহরের গোলবাগানে পার্থপ্রতিমের বাড়ির সামনে ভিড় জমে যায়। তিনি করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসায় গত ছ’দিন ধরে ‘গৃহ নিভৃতবাসে’ আছেন। এ দিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই দলীয় কর্মীদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। পরে তিনি বলেন, “দলনেত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন তাতে আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁর প্রতি আস্থা রেখেই কাজ করব। জেলার প্রবীণ নেতা থেকে শুরু করে সবার পরামর্শ নিয়েই কাজ করব।”
এ দিনই দলের বর্ষীয়ান নেতাদেরও দায়িত্ব ভাগ করে দেন মমতা। দলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকা বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে জেলা পার্টির চেয়ারম্যান করা হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি করা হয়। জেলার আর এক বিধায়ক হিতেন বর্মণকে রাজ্য কোর কমিটির সদস্য করা হয়েছে। জেলা কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে উদয়ন গুহ এবং অর্ঘ্য রায় প্রধানকে। পাশাপাশি দলের কোচবিহার জেলা যুব সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিজিৎ দে ভৌমিককে।
দলীয় সূত্রের খবর, প্রবীণ এবং নবীনের মেলবন্ধন ঘটিয়েই আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে যেতে চাইছেন তৃণমূলনেত্রী।
সংগঠনে রদবদলের সময়ে রাজবংশী সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্কের কথাও মাথায় রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে কোচবিহারে তথা গোটা উত্তরবঙ্গে বিজেপির সঙ্গে কড়া মোকাবিলায় পড়তে হচ্ছে তৃণমূলকে। দল মনে করছে, রাজবংশী ভোটারদের মধ্যে বিজেপির প্রভাব বেড়েছে। শুধু তাই নয়, নিশীথ প্রামাণিকের মতো তরুণ নেতাকে সামনে রেখে সংগঠন তৈরির কাজ করছে বিজেপি। যার সঙ্গে পাল্লা দিতে তৃণমূল নেতারা পিছিয়ে পড়ছেন। তরণ প্রজন্মের মধ্যেও সেই কারণেই বিজেপির প্রভাব বাড়ছে বলে মনে করছে রাজ্যের শাসকদল। পার্থ এবং অভিজিৎ দু’জনই বয়সে তরুণ। রাজবংশী সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থের প্রভাব রয়েছে। সেই সঙ্গে নিশীথের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজনীতি ওই
দু’জন করতে পারবেন বলে মনে করছে দল।
দলীয় সূত্রেই আরও জানা গিয়েছে, প্রবীণদের পরামর্শ না পেলে তরুণ নেতাদের পক্ষে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হবে। এমনকি, প্রবীণ নেতা কর্মীদের মধ্যেও তার ছাপ পড়তে পারে। সে জন্যই বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে চেয়ারম্যান এবং রবীন্দ্রনাথকে রাজ্য পার্টির সহ সভাপতি করা হয়। রাজবংশী সম্প্রদায়েরই আর এক বিধায়ক হিতেন বর্মণকে রাজ্য কোর কমিটিতে জায়গা দিয়েছে দল। এ ক্ষেত্রেও নানা অঙ্ক মাথায় রাখা হয়েছে। জেলায় আরও দুই বিধায়ক উদয়ন এবং অর্ঘ্য রায়প্রধানকে কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে। এই দু’জনই সাংঠনিক নেতা হিসেবে দলে পরিচিত।
চেয়ারম্যান বিনয় বলেন, “দিদি’র নির্দেশ মতো সবাই একসঙ্গে কাজ করব।” রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।
দীর্ঘসময় ধরে কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে।
একদিকে, পার্থ-বিনয়-উদয়ন তো আর একদিকে রবীন্দ্রনাথ-হিতেন বর্মণ-জগদীস বসুনিয়া। সেখানে সংগঠনের রদবদলে কি এই ছবি বদলাবে? সেদিকেই তাকিয়ে আছেন কর্মীরা।

TMC Mamata Banerjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy