জেলার ন’টি ব্লকে দলীয় কমিটি গঠন, রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনের আগে দলের প্রচারের কৌশল চূড়ান্ত করা-সহ দলের একাধিক কর্মসূচি ঠিক করতে জেলা কমিটির বর্ধিত বৈঠক ডেকেছিলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য। তবে বৈঠকে দলের একাধিক জেলা নেতা, বিধায়ক ও মন্ত্রী হাজির না হওয়ায় তৃণমূলের অন্দরে ফের জল্পনা ছড়িয়েছে।
বুধবার রায়গঞ্জের বেনফিশ ভবনে ওই বৈঠকে অমলবাবু ও সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল ছাড়া করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক মনোদেব সিংহ, চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান, গোয়ালপোখরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি হাজির হননি।
দেখা যায়নি কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা দলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ, দলের প্রাক্তন জেলা কার্যনির্বাহী সভাপতি তিলক চৌধুরী, জেলা মহিলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভানেত্রী কেয়া চৌধুরী, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম পাল, ইসলামপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী, দলের জেলা সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় দত্ত, জেলা মহিলা তৃণমূলের কার্যনির্বাহী সভানেত্রী তথা হেমতাবাদের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী সবিতা ক্ষেত্রীর মতো দলের জেলার প্রথম সারির একাধিক নেতানেত্রীকে। অমলবাবুর দাবি, ‘‘সবাইকেই চিঠি পাঠিয়ে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে অনেকে কলকাতায় থাকায় আসতে পারেননি।’’
অগস্ট মাসেই দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর কাছে অমলবাবুর বিরুদ্ধে দলীয় নির্দেশ না মেনে জেলার একাধিক কমিটি ভাঙার অভিযোগ জানিয়ে তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান জেলার একাধিক তৃণমূল নেতা ও বিধায়ক। সেই তালিকায় এ দিন অনুপস্থিত অনেকেই ছিলেন বলে দল সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy