Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ভাল ফলে দুশ্চিন্তা শুরু

চোখ ছলছল মা অণিমাদেবী বলেন, “খুব কষ্টে খেয়ে না খেয়ে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছি। মেয়ে চিকিৎসক হতে চায়। প্রচুর টাকার দরকার। আমার অসুস্থ দাদাই বা আর কত সাহায্য করবে?” তবে ভৌতবিজ্ঞানে ৭৫ ও জীবন বিজ্ঞানে ৯০ নম্বর পাওয়াতে খুশি নয় নিবেদিতা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ফালাকাটা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৭ ০৩:০২
Share: Save:

বাবা নেই। মা সামান্য বেতনে পারিশ্রমিকে একটি প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানের কর্মচারী। আজ খেলে কাল কী খাবে সেই চিন্তা। এমনি একটি পরিবারের ফালাকাটার মশলাপট্টির পড়ুয়া নিবেদিতা দে। এ বার মাধ্যমিকে ৬১৮ নম্বর পেয়ে পাড়ার মুখ উজ্জ্বল করেছে সে। গর্বিত পড়শিরাও। নিবেদিতার ফলাফলে খুশি তার স্কুল ফালাকাটা গালর্স স্কুলের শিক্ষিকারাও। দু’বছর আগে বাবা পঙ্কজ দে মারা যায়। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে অথৈও জলে পড়েন মা অণিমা দে। সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে মামা অমর সরকার। নিবেদিতার ইচ্ছা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে চিকিৎসক হওয়ার। মেয়ের ভাল ফলেও মায়ের দুঃশ্চিতার শেষ নেই। কী করে উপরের ক্লাসে পড়াবেন? বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে চিকিৎসক হওয়া যে প্রচুর টাকা খরচ।

চোখ ছলছল মা অণিমাদেবী বলেন, “খুব কষ্টে খেয়ে না খেয়ে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছি। মেয়ে চিকিৎসক হতে চায়। প্রচুর টাকার দরকার। আমার অসুস্থ দাদাই বা আর কত সাহায্য করবে?” তবে ভৌতবিজ্ঞানে ৭৫ ও জীবন বিজ্ঞানে ৯০ নম্বর পাওয়াতে খুশি নয় নিবেদিতা। ফের খাতা দেখার আবেদন করবে সে। পড়াশুনার সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্র, নজরুল, রাগপ্রধান গানও শেখে নিবেদিতা। নিবেদিতা বলে, “আমার সাফল্যের পিছনে স্কুল শিক্ষিকা ও গৃহ শিক্ষকের ভূমিকায় খুব খুশি আমি। আমার ইচ্ছা যদি কেউ সাহায্যের হাত বাড়ায় তা হলে একদিন আমি চিকিৎসক হব। আমি মায়ের চোখের জল মুছতে চাই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE