Advertisement
E-Paper

মিড-ডে মিলে হবে রেস্তরাঁর খাবার

ইংরেজবাজার ব্লকের বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষ করছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের তৈরি মাশরুমের চাহিদা বাড়ছে জেলায়। এ বার সেই মাশরুম মিড-ডে মিলে ছাত্র-ছাত্রীদের খাওয়াতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। তবে বাড়ির মতো করে নয়,  রেস্তরাঁর মতো তৈরি করা হবে মাশরুম। এ দিন শহরের এক নামী রেস্তরাঁর কর্মীরা প্রশিক্ষণ দেন প্রায় ২৫ জন মহিলাকে। শেখানো হয় মাশরুম কারি, মাশরুম মটর মশলা, মাশরুম পাস্তা মশলা, আলু-টমেটো দিয়ে ভেজ মাশরুম তৈরি।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০২:২১
প্রশিক্ষণ: রেস্তরাঁর কর্মীদের কাছে রান্না শিখছেন মিড-ডে মিলের রাঁধুনিরা। নিজস্ব চিত্র

প্রশিক্ষণ: রেস্তরাঁর কর্মীদের কাছে রান্না শিখছেন মিড-ডে মিলের রাঁধুনিরা। নিজস্ব চিত্র

মিড-ডে মিলে স্কুল পড়ুয়াদের পাতে পড়বে রেস্তরাঁর মতো সুস্বাদু খাবার। মাশরুম, পাস্তার মতো লোভনীয় এবং পুষ্টিকর বিভিন্ন পদ থাকবে তালিকায়। শুক্রবার সকাল থেকে ইংরেজবাজার ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের নামী রেস্তরাঁর কর্মীদের দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল বিভিন্ন স্কুলের মিড-ডে মিলের রাঁধুনিদের। হাতে-কলমে রেস্তরাঁর খাবার তৈরি করলেন মিড-ডে মিল রান্নার সঙ্গে যুক্ত মহিলারা। পড়ুয়াদের উপস্থিতি এবং মিড-ডে মিলের প্রতি উৎসাহ বাড়াতেই অভিনব এই উদ্যোগ বলে দাবি ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের। উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারাও।

ইংরেজবাজার ব্লকের বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম চাষ করছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের তৈরি মাশরুমের চাহিদা বাড়ছে জেলায়। এ বার সেই মাশরুম মিড-ডে মিলে ছাত্র-ছাত্রীদের খাওয়াতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। তবে বাড়ির মতো করে নয়, রেস্তরাঁর মতো তৈরি করা হবে মাশরুম। এ দিন শহরের এক নামী রেস্তরাঁর কর্মীরা প্রশিক্ষণ দেন প্রায় ২৫ জন মহিলাকে। শেখানো হয় মাশরুম কারি, মাশরুম মটর মশলা, মাশরুম পাস্তা মশলা, আলু-টমেটো দিয়ে ভেজ মাশরুম তৈরি।

রেস্তরাঁর ম্যানেজার অশোক চৌধুরী বলেন, “প্রশিক্ষিত রাঁধুনিদের দিয়ে এ দিন মহিলাদের মাশরুমের চার রকম পদ শেখানো হয়। খুব কম খরচে সাধারণ ভাবে ওই সব রান্না করা যায়। সুস্বাদু অথচ পুষ্টিকর ওই খাবারে পড়ুয়াদের মিড-ডে-মিলের প্রতি আগ্রহ আরও বাড়বে।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার ব্লকে প্রাথমিক এবং হাইস্কুল মিলিয়ে মোট ২১০টি স্কুল রয়েছে। এ দিন ব্লকের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে দু’জন করে রাঁধুনীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেই রাঁধুনিরা আবার গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্যদের প্রশিক্ষণ দেবেন।

বিডিও দেবর্ষি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এখন আমাদের ব্লকেই মাশরুম তৈরি হচ্ছে। তাই তা মিড-ডে মিলের মাধ্যমে পড়ুয়াদের খাওয়ানো হবে। তাতে পড়ুয়াদের খাবারে প্রয়োজনীয় প্রোটিনও থাকবে।”

প্রশাসনের মাধ্যমে খাবার তৈরির এই উন্নত মানের প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি রাঁধুনীরাও। মণিকা মণ্ডল, ডলি মণ্ডলেরা জানান, স্কুলের মিড-ডে মিলের রান্নার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত আমরা। সয়াবিন, ডাল-ভাত একঘেয়ে হয়ে যাওয়ায় অনেকেই তা খেতে চায় না। যেমন, ডিম-ভাত হলে বেশি পরিমাণে খায় ছাত্র-ছাত্রীরা। রেস্তরাঁর মতো করে খাবার তৈরি করতে পারলে পড়ুয়ারাও উৎসাহ সহকারে খাবে।

অতিরিক্ত জেলা শাসক পদম সুনম বলেন, “মিড-ডে মিল পড়ুয়াদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে সোয়াবিনের পোলাও তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে রেস্তোরাঁর খাবারের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।”

Training Restaurant Mid day meal Food
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy