ফাইল চিত্র।
ভিন্রাজ্য থেকে শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরেছেন, এখনও ফিরছেন। তাতে একদিকে যেমন স্বস্তি মিলেছে, তার সঙ্গেই উঠছে একটা প্রশ্ন—এই শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ কী! এমনিতেই লকডাউনে কারখানা, নির্মাণকাজ, সবই বন্ধ ছিল। করোনা সংক্রমণ না কমলেও লকডাউন কিছুটা শিথিল হয়ে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে কারখানা। তবে কারখানা খুললেও কত জন শ্রমিক আগের কাজের জায়গায় ফেরত যাবেন বা আদৌ তাঁদের সেখানের কাজ থাকবে কী না, লকডাউন-পরবর্তী সময়ে পুরো বিষয়টি নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তাই এই বিপুল সংখ্যক শ্রমিকরা কী কাজ করবেন, আর তাঁরা কাজ না পেলে তাঁদের পরিবারেই বা কি অবস্থা হবে—সব মিলিয়েই এখন চিন্তায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।
উত্তর দিনাজপুর জেলার ন’টি ব্লকের একটি বড় অংশের বাসিন্দা ভিন্রাজ্যে কাজ করেন। কেউ সেখানে নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত, কেউ আবার বিভিন্ন কারখানা বা প্রস্তুতকারক সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। সেই রোজগারেই জেলায় তাঁদের পরিবারের সংসার চলে। কিন্তু করোনা সংক্রমনের জেরে পরিস্থিতি বদলেছে। বন্ধ হয়েছে প্রচুর কারখানা। শুধু তাই নয় পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে নিজেদের খাওয়ার জোগাড় করতেই সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকেরা। তাই বাধ্য হয়েই কেউ হেঁটে কেউ সাইকেলে কেউবা ট্রাকে করে বাড়ি ফিরেছেন।
বাড়ি ফেরায় একটা চিন্তা দূর হলেও বেড়েছে অন্য সমস্যা। তাঁরা জানিয়েছেন, কতদিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কবে কাজে ফিরতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গিয়েছে। চোপড়ার বাসিন্দা আক্তার আলম, মোকসেদ আলমদের কথায়, ‘‘বহু কষ্ট করে ফিরেছি। এখন আবার ফিরতে পারব বলে মনে হচ্ছে না। এখানে থেকেও কী কাজ করব তাও বুঝতে পারছি না।’’
ইসলামপুরে অ্যাসিস্টেন্ট লেবার কমিশনার নৌশাদ আলি অবশ্য বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় নাম নথিভুক্ত করার জন্য ৮ জুন থেকে কাজ শুরু হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy