পুরস্কৃত: কলকাতার মঞ্চে। নিজস্ব চিত্র
সাহসিকতার জন্য আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উপলক্ষে রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিটি উত্তর দিনাজপুেরর এক পুলিশ অফিসার এবং এক কলেজ ছাত্রীকে পুরস্কার তুলে দিল। মঙ্গলবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে নিজের বিয়ে রুখে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য চাকুলিয়ার বাসিন্দা সঙ্গীতা সরকার নামে এক ছাত্রীর হাতে ‘বীরাঙ্গনা’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, যৌনপল্লি থেকে নাবালিকা মেয়েদের উদ্ধার করার জন্য জেলার পুলিশ অফিসার পরাণ মণ্ডলকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের বিয়ে রুখে দিয়েছিল ‘অবাধ্য’ মেয়ে সঙ্গীতা। চাকুলিয়ার রামকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা সঙ্গীতার হাতে এ দিন পুরস্কার তুলে দেন কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। অভাবের তাড়নায় দু’বছর আগে সঙ্গীতা মাধ্যমিক পাশ করার পরে তাঁর পরিবারের লোকজন বিয়ের পরিকল্পনা নেন। সঙ্গীতা তার সহপাঠীদের সাহায্যে সে কথা প্রধান শিক্ষক-সহ অন্য শিক্ষকদের জানায়। ভেস্তে দেওয়া হয় তাঁর বিয়ের পরিকল্পনা। সঙ্গীতার জেদ ছিল তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন। সেই জেদেই উচ্চমাধ্যমিকে রামকৃষ্ণপুর পিডিজিএম হাইস্কুল থেকে ৪৬৭ নম্বর পেয়ে ব্লকের মধ্যে সেরা হন তিনি। বর্তমানে সঙ্গীতা রায়গঞ্জ কলেজে দর্শন নিয়ে স্নাতক পড়ছেন। এ দিন সঙ্গীতার হাতে স্মারক, মানপত্র এবং ১০ হাজার টাকা চেক দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, একই মঞ্চে জেলার পুলিশ অফিসার পরাণ মণ্ডলকে সাহসিকতার জন্য পুরস্কৃত করা হয়। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসারপ্রাপ্ত বিচারক নাদেরিয়া পাঠেরিয়া। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, পরাণ গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়া যৌনপল্লি থেকে ৫২ জন নাবালিকা ও মহিলাকে উদ্ধার করেছেন। এঁদের মধ্যে কয়েক জনের বাড়ি বিহার, অসম, বাংলাদেশে। তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করেন তিনি। গোয়ালপোখর এবং ইটাহার থানায় থাকাকালীন নারী-শিশুপাচার, অপহরণ ও পকসোর ২৩টি মামলার তদন্ত করেন। জলপাইগুড়ির বাসিন্দা পরাণ ২০০৮ সালে পুলিশে যোগ দেন। বর্তমানে জেলার ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট শাখায় কর্মরত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy