স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের প্রাক্তন গাড়ির চালককে পুলিশ গ্রেফতার করল।
বুধবার সকালের ভক্তিনগর থানার মিলনপল্লি ফাঁড়ির শিমূলগুড়ি এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বিপ্লব রায়। গত শুক্রবার বিপ্লবের স্ত্রী অগ্নিদ্বগ্ধ হওয়ার পর পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল বলে মৃতার পরিবারের অভিযোগ। তাঁরা দাবি করেছিলেন, বিধায়কের গাড়ির চালক হওয়ার সুবাদে অভিযুক্তরা প্রভাব খাটাচ্ছেন। পরে অবশ্য অভিযোগ নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সবিতা রায় (২৬)। তাঁর বাড়ি শিলিগুড়ির ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাগরাকোটে। আট বছর আগে শিমূলবাড়ির অভিযুক্ত বিপ্লবের সঙ্গে সবিতার বিয়ে হয়। দম্পতির সাড়ে তিন বছরের ছেলে ও এক বছরের মেয়েও রয়েছে। গত শুক্রবার অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় সবিতাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর পুড়ে গিয়ে পিঠ, পেটে, হাতে গুরুতর জখম ছিল। মঙ্গলবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রথমে মারধর-অত্যাচার, আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা হলেও সবিতার মৃত্যুর পর খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আগুনে মৃত্যুর সঠিক কারণ বোঝা যাবে। এখন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। ধৃতকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।’’
গত ১৮ জুলাই থেকে অবশ্য বিপ্লব বিধায়কের গাড়ি চালাচ্ছেন না। বিধায়ক খগেশ্বরবাবু বলেন, ‘‘বিপ্লবকে দিন দশেক আগেই কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম। ওঁর কাজকর্মের ধরণ ভাল ছিল না। সময় জ্ঞান একেবারেই ঠিক নেই। তবে ওঁর স্ত্রীর আগুনে পোড়ার বিষয়টি শুনেছি। কেউ দোষ করলে শাস্তি পাবে।’’
অভিযুক্তের পরিবারের অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিপ্লবের মা ব্রজবালা রায় বলেন, ‘‘কেউ সবিতাকে কিছু বলেনি। ও নিজেই গায়ে আগুন দিয়েছে।কেন দিল আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। ছেলে ওকে মারেনি।’’ মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই টাকার দাবিতে সবিতার উপর অত্যাচার হত। মারধর, গায়ে ছ্যাঁকা দেওয়া কোনও কিছু বাদ দেয়ননি। গত শুক্রবার ফের মারধর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ব্রজবালা দেবী বলেন, ‘‘বিধায়ক অবশ্য হাসপাতালে টেলিফোন করে ঠিকঠাক চিকিৎসার যাতে হয়ে তা দেখতে বলেছিলেন। আমরা বিপ্লবের কড়া শাস্তি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy