ডুয়ার্সে ঘুরতে এসে উত্তাল পাহাড়ি নদীর হড়পা বানে ভেসে মৃত্যু হল মা ও মেয়ের। রবিবার ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের গাঠিয়া চাবাগান সংলগ্ন গাঠিয়া নদীতে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত মায়ের নাম ক্যামেলিয়া বিশ্বাস (৪০) ও মেয়ের নাম রাজ্যাইয়া বিশ্বাস (১৩)। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন কলোনির বাসিন্দা তারা।
গাঠিয়া নদীর পাশেই রয়েছে গাঠিয়া চা বাগান। সেই চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার রূপক বিশ্বাসের মতো কলকাতা থেকে অনেকেই বেড়াতে এসেছিলেন। শিলিগুড়ি থেকে গিয়েছিলেন ক্যামেলিয়া ও রাজ্যাইয়া। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুর নাগাদ আট জন গাঠিয়া নদীতে স্নান করতে নামেন। তখন স্বাভাবিকই ছিল নদী। তার কিছু ক্ষণের মধ্যে আচমকা হড়পা বান দেখা দেয়। হঠাৎ নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। তাঁরা জানান, প্রবল জলের স্রোতে ভেসে যান আট জনই। স্থানীয়দের চেষ্টায় ছ’জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ভেসে যায় মা ও মেয়ে। এর পর বিকেল ৩টে নাগাদ অনেক নীচে ছাড়টন্ডু সংলগ্ন এলাকা থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে নাগরাকাটা থানার পুলিশ।
ডুয়ার্সের নদী ও ঝোরাগুলির উৎসস্থল কালিম্পং ও ভুটানের পাহাড়ি এলাকা। এই সময় পাহাড়ি এলাকায় প্রবল বর্ষণ হয়। যার জেরে উত্তাল গতিতে নদী দিয়ে নীচের দিকে হড়পা বানের মতো নেমে আসে জলধারা। রবিবার গাঠিয়া নদীতে এ ভাবেই জলধারা নেমে এসে মা ও মেয়েকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
থানার আইসি কৌশিক কর্মকার বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। গাঠিয়া নদীতে আট জন স্নান করতে নামেন। ছ’জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এক জন মহিলা ও তাঁর মেয়ে ভেসে যায়। দু’টি দেহই উদ্ধার হয়েছে। আগামিকাল (সোমবার) ওঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy