Advertisement
E-Paper

মালদহে মহিলাদের বিবস্ত্র করে মারধরে মুখ্যসচিব, পুলিশ সুপারকে শোকজ় মানবাধিকার কমিশনের

পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরে রাজ্যের মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মালদহের পুলিশ সুপারকে শোকজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের। ছ’সপ্তাহের মধ্যে জবাব তলব।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৩ ১৩:০২
representational image

— প্রতীকী ছবি।

মালদহের বামনগোলা থানার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মালদহের পুলিশ সুপারকে শোকজ় করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ছ’সপ্তাহের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। কেন ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না? চার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরই বা কি হল, জানতে চায় কমিশন।

গত ১৮ জুলাই বামনগোলা থানার পাকুয়াহাটে হাটের মধ্যে চোর অপবাদে নির্যাতনের শিকার হন দুই মহিলা। অভিযোগ, বিবস্ত্র করে মারধর এবং জুতোপেটা করা হয় দুই মহিলাকে। সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই দুই মহিলাকেই গত ১৭ জুলাই নালাগোলা ফাঁড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত করে পুলিশ। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয় দুই নির্যাতিতা মহিলার বিরুদ্ধে।

গত ২৩ জুলাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, পেশায় আইনজীবী উজ্জ্বল দত্ত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ বার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মালদহের পুলিশ সুপারকে শোকজ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ছ’সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে।

উজ্জ্বল বলেন, ‘‘একদম সঠিক ভাবেই তারা জানতে চেয়েছে যে, বামনগোলা থানার আইসি, পাকুয়াহাট ফাঁড়ির যে সমস্ত পুলিশকর্মী দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত, তাঁদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল। ঘটনার বেশ কয়েক দিন পর অভিযোগ দায়ের হরেছে। পুলিশ এমন ভাব করছে যেন, মহিলা দু’জনই দোষী। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সঠিক ভাবেই জানতে চেয়েছে যে, চার পুলিশকে ক্লোজ় করেছে তাদের বিরুদ্ধে আর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?’’ তিনি জানান, মানবাধিকার কমিশন মনে করছে, পুলিশ সুপার কোনও কিছু ঢাকার চেষ্টা করছেন। কী চাপতে চাইছেন, তা জানাতে হবে মানবাধিকার কমিশনকে। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, নিগৃহীতাদের যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, সে ক্ষেত্রে তাঁদের ৩ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘এখানে টাকাটা বড় কথা নয়। ওঁদের যে সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে, তা টাকা দিয়ে পূরণ করা যায় না। কিন্তু ওঁরা আর্থিক সহায়তা পেলে খুশি হব।’’

জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিজেপির এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে। এটা সবাই জানে। এরা মণিপুর, উত্তরপ্রদেশে যায় না। তবুও বাংলায় এসেছে, সম্মান জানিয়েছি। যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।’’

Malda arrest police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy