প্রতীকী ছবি।
গৌড়বঙ্গের তিন জেলার পড়ুয়াদের কারও নিট পরীক্ষাকেন্দ্র কলকাতা, কারও শিলিগুড়ি।
১৩ সেপ্টেম্বরের পরীক্ষার আগের দিন লকডাউন তুলে নেওয়ার কথা বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তার পরেও পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একাংশের উৎকণ্ঠা কাটছে না।
তাঁরা জানান, ট্রেন বন্ধ। ভরসা সড়কপথ। কিন্তু মালদহ, রায়গঞ্জ বা বালুরঘাট থেকে কলকাতা ও শিলিগুড়ি যেতে যে জাতীয় সড়কগুলি পড়ে সেগুলি বেহাল। সঙ্গে রয়েছে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা এবং মালদহের সুজাপুরের যানজট সমস্যাও। ফলে যাঁরা গাড়ি ভাড়া করে বা বাসে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার কথা ভেবেছেন, তাঁরাও এতে উদ্বেগে।
মালদহের পরীক্ষার্থী ইকবাল খান বলেন, ‘‘বাসে পরীক্ষা দিতে যাব। কিন্তু ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের যে বেহাল দশা তাতে সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারব কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন। শনিবার দুপুরে কোনও বাস পেলে তাতেই রওনা দেব।" বালুরঘাট থেকে কলকাতা বা শিলিগুড়ি যেতে যে জাতীয় সড়ক পড়ছে তার অবস্থা বেহাল থাকায় চিন্তায় রয়েছেন পরীক্ষার্থী থেকে অভিভাবকেরা। এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক শুভম সরকার বলেন, "বাউল থেকে গঙ্গারামপুর পর্যন্ত জাতীয় সড়কের অবস্থা ভাল নয়। তার পর মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো জেলাতেও জাতীয় সড়কের অবস্থা খারাপ। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই বাসে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় আছি।" রায়গঞ্জের পরীক্ষার্থী জয় মণ্ডল বলেন, "তিন বন্ধু মিলে সাত হাজার টাকায় রায়গঞ্জ থেকে গাড়ি ভাড়া করে শিলিগুড়ি রওনা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে জাতীয় সড়কের বেহাল দশা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।"
রায়গঞ্জের বাসিন্দা জয়ত্রী পাল নামে এক পরীক্ষার্থীর শিলিগুড়ির একটি স্কুলে নিট পরীক্ষার আসন পড়েছে। ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর লকডাউন থাকায় তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে সমস্যা হবে দাবি করে ওই দুদিন লকডাউন প্রত্যাহারের আর্জিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিল জয়ত্রী। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার আদালত লকডাউন প্রত্যাহারের দাবি খারিজ করলেও রাজ্য সরকারকে ১০-১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই ছাত্রী ও তাঁর পরিবারের লোকেদের শিলিগুড়িতে থাকা ও প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেন। যদিও ওই ছাত্রীর পরিবারের বক্তব্য, সমস্ত নিট পরীক্ষার্থীদের স্বার্থেই আদালতে ওই আবেদন করা হয়েছিল। রাজ্য সরকার সমস্যা বুঝতে পেরে লকডাউন তুলে নিয়েছে। তাঁরা সরকারের কোনও সুবিধা নেবেন না।
তথ্য সহায়তা: জয়ন্ত সেন, গৌর আচার্য ও নীহার বিশ্বাস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy