Advertisement
০৩ মে ২০২৪

চিকিৎসায় গাফিলতি, শিশু-মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ

রেখাদেবীর বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, জন্মের পর সুস্থই ছিল শিশুটি৷ মঙ্গলবার বিকেলে আচমকাই জ্বর আসে তার৷

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৩
Share: Save:

চিকিৎসার গাফিলতিতে তিন দিনের শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠল৷ বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের ঘটনা৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি পুলিশের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ দুই তরফে খতিয়ে দেখাও শুরু হয়েছে৷

হাসপাতাল সূত্রের খবর, ২০ জানুয়ারি প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন বেরুবাড়ির সরকার পাড়ার বাসিন্দা রেখা শর্মা৷ ২১ জানুয়ারি দুপুরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি৷ রেখাদেবীর বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, জন্মের পর সুস্থই ছিল শিশুটি৷ মঙ্গলবার বিকেলে আচমকাই জ্বর আসে তার৷

চিকিৎসকের পরামর্শে নার্সরা শিশুটিকে একটি ওষুধ তিন ড্রপ খাইয়ে দিলে সে ঘুমিয়ে পড়ে৷ রাত আড়াইটা নাগাদ শিশুটি আচমকা কাঁপতে শুরু করে৷ তার বাবা মানিক শর্মার অভিযোগ, বাড়ির লোকেরা বারবার নার্সদের ডেকে ক্লান্ত হয়ে যান৷ কিন্তু কোনও নার্স তো আসেনইনি, চিকিৎসকও আসেননি৷ এ ভাবে এক ঘণ্টার বেশি পেরিয়ে যাওয়ার পরে ভোর ৩টে ৪০মিনিট নাগাদ শিশুটিকে হাসপাতালের শিশু বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন৷

ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিশুর বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, চিকিৎসক ও নার্সদের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে৷ মানিকবাবুর অভিযোগ, মনে হচ্ছে চিকিৎসক যে ওষুধটি দিয়েছিল সেটা ভুল ছিল। শিশুটির মামা হিমাংশু সরকার বলেন, ‘‘রাতে ডাকার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক ও নার্সরা এসে শিশুটিকে দেখলে এই ঘটনা ঘটত না৷’’

জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে কথা বলে জানতে পেরেছি, বাড়ির লোকেদের ডাক পেয়েই নার্সরা ছুটে গিয়েছিলেন৷

তবে শিশুর বাড়ির লোকেরা যেহেতু অভিযোগ করেছেন, তাই এ দিন দেহের ময়নাতদন্ত হয়৷ রিপোর্ট হাতে এলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’’ জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানান, তাঁরাও অভিযোগটি খতিয়ে দেখছেন৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Doctors Patients ডাক্তার
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE