Advertisement
E-Paper

ভিড় সামলাবে নয়া টার্মিনাল

পুরোটাই কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অনুকরণে তৈরি ‘মাস্টারপ্ল্যান’। জমি অধিগ্রহণ শেষ হলেই কলকাতার আদলে তৈরি হবে বাগডোগরার নতুন বিমানবন্দরের টার্মিনাল।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৫০
ভোগান্তি: ভিড়ে ঠাসা টার্মিনাল। নতুন ভবন হলে এই ছবি বদলে যাবে, আশা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। ফাইল চিত্র

ভোগান্তি: ভিড়ে ঠাসা টার্মিনাল। নতুন ভবন হলে এই ছবি বদলে যাবে, আশা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। ফাইল চিত্র

পুরোটাই কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অনুকরণে তৈরি ‘মাস্টারপ্ল্যান’। জমি অধিগ্রহণ শেষ হলেই কলকাতার আদলে তৈরি হবে বাগডোগরার নতুন বিমানবন্দরের টার্মিনাল। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া-র (এআইআই) সূত্রের খবর, বাগডোগরার বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ এবং আধুনিকীকরণের জন্য ৪০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা তৈরি করা রয়েছে। নতুন টার্মিনাল ভবন, কার্গো কমপ্লেক্স, পার্কিং-সহ একাধিক আধুনিক ব্যবস্থা মিলিয়ে নতুন কাজের জন্য একশো একর জমির পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। কিন্তু জমির পরিমাণ রাজ্য সরকারকে জানানোর পর থেকেই জটিলতা শুরু হয়ে যায়।

বিমানবন্দরের সামনের অংশের একাধিক চা বাগান, বেসরকারি মালিকানাধীন জমি থাকলেও বাজার দরে তার দাম মেটাবে কে, তা নিয়ে এএআই এবং রাজ্যের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। অবশেষে, প্রথমবার নিয়ম বদলে জমির জন্য প্রয়োজনীয় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে এএআই বোর্ড। আর এতেই রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত কাজে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এএআই কর্তৃপক্ষ।

এএআই-র উত্তর পূর্বাঞ্চলের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘একেবারে কলকাতার অনুকরণে বাগডোগরার জন্য অত্যাধুনিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি। দিল্লির বাস্তুকারের তৈরি নকশা প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে। জমির প্রক্রিয়া শেষ করতে কয়েক মাস লাগবে। ২০২০ সাল মাথায় রেখেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে।’’

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, একাধিক মালিকানাধীন জমির পরিবর্তে বিমানবন্দরে ঢোকার রাস্তা থেকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে আরও কিলোমিটার এগোলেই একটি গোষ্ঠীর হাতে থাকা বড় চা বাগান রয়েছে। তাঁদের ১১০ লিজ ল্যান্ডটি পুরোটাই নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সংস্থার সঙ্গে কলকাতা, দিল্লিতে প্রাথমিক কথাবার্তাও এগিয়ে নিয়েছে এএআই এবং রাজ্য। লিজের জমি রাজ্যকে ফেরানো ছাড়াও চা বাগানের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই ২৫ কোটি টাকা ব্যবহার করা হবে। বর্তমানের রাস্তা এবং টার্মিনাল ভবনটি ‘ইন্টারন্যাশনাল’ এবং নতুন টার্মিনাল ভবনটি ‘ডোমেস্টিক’ যাত্রীদের জন্য ব্যবহার করার হবে বলে আপাতত ঠিক হয়েছে।

জাতীয় সড়কের এক পাশ ধরে নতুন বাগডোগরা বিমানবন্দর এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হবে। বর্তমান রানওয়ের দক্ষিণমুখী বিমান ওড়ার রাস্তা যেখানে শেষ হচ্ছে, সেখানকার সামনের বাগানের সমস্ত অংশের জমি নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। তবে রানওয়ে একটিই থাকছে। তেমনিই এটিসি-ও থাকবে বায়ুসেনার হাতে।

রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘চা বাগানের জমিটি রয়েছে। এএআই তরফে টাকা নিয়ে সরকারিভাবে রাজ্যকে জানানো হলে প্রশাসন কাজে নামবে। এই ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগে আমরা ওদের ২৬ একর জমি দিয়েছি।’’

এএআই-র অফিসারেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বিমানবন্দরের সবচেয়ে বড় সমস্যা যাত্রীদের টার্মিনাল এবং বিমানের স্লট। নতুন টার্মিনালটি যাতে ঘণ্টায় হাজার যাত্রী ব্যবহার করতে পারেন, সেই ভাবে তৈরি হবে। বর্তমান টার্মিনালটি ধারণ ক্ষমতা ঘণ্টায় ৩০০ জন যাত্রী।

দুপুরের একটা সময়ে যখন ভিড় সব থেকে বেশি হয়, এই ধারণ ক্ষমতা ছাপিয়ে যায়। বার্ষিক যাত্রী সংখ্যা সাড়ে ২২ লক্ষ ছাড়াতেই এখন যাত্রীদের দিনভর বোর্ডিং পাস, সিকিউরিটি চেকিং, ঢোকার সময় টানা লাইনে ছাড়াও শৌচালয়েও অপেক্ষা করতে হয়। সিকিউরিটি হোল্ড এলাকার বসার জায়গা মেলে না। তেমনিই, ৫২টি বিমান রোজ নামা-ওঠা করায় বিমান দাঁড় করানোর জায়গা নিয়েও সমস্যা হয়। পার্কিং না থাকায় বিমানসংস্থাগুলি কলকাতা, দিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়ের জন্য নতুন স্লট চাইলেও এএআই তা দিতে পারছে না।

Terminal Airport Bagdogra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy