Advertisement
E-Paper

এখনও নেই বার্ন ইউনিট

জও ওই হাসপাতালে বার্ন ইউনিট হয়নি। ফলে, কোথাও কোনও বিস্ফোরণ হলে কী ভাবে জখমদের চিকিৎসা হবে তা নিয়ে একই রকম উদ্বেগ রয়ে গিয়েছে।

স্নেহাশিস সরকার

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:০৮
বন্ধ: তালা রোগী কল্যাণ কেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র

বন্ধ: তালা রোগী কল্যাণ কেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র

গাইসালে সেই ট্রেন দুর্ঘটনার পরে জখমদের ভিড় উপচে পড়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আগুনে ঝলসে যাওয়াদের চিকিৎসা করতে হিমশিম খেতে হয়েছিল ডাক্তারদের। সেই সময়ে দ্রুত বার্ন ইউনিট গড়ার আশ্বাস দিয়েছি তৎকালীন বাম সরকার। তার পরে বাম জমানা চলে গিয়েছে। তৃণমূল ক্ষমতাসীন হয়েছে তা-ও ৭ বছর হল। অথচ আজও ওই হাসপাতালে বার্ন ইউনিট হয়নি। ফলে, কোথাও কোনও বিস্ফোরণ হলে কী ভাবে জখমদের চিকিৎসা হবে তা নিয়ে একই রকম উদ্বেগ রয়ে গিয়েছে।

এখন ভরসা বলতে একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল। কিন্তু, কোথাও কোনও অঘটন ঘটলে নামীদামি হাসপাতালে দ্রুত ভর্তি করাতে যে নিয়ম মানতে হয়, তা পূরণ করা দায়িত্ব পালন কে করবেন সেটাও বড় প্রশ্ন। যদিও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপতাল সূত্রে দাবি, করা হয়েছে, হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ১০টি বেডে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে শিলিগুড়ি ছাড়াও আশেপাশের জেলা, এমনকি বিহার থেকেও রোগীরা চিকিৎসার জন্য আসেন। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে। সেটা এখন শেষের পথে। ওখানে আলাদা করে বার্ন ইউনিট গড়ে তোলার ব্যাপারে স্বাস্থ্য ভবনে কথা বলব।’’ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্তত ২০ জন রোগীকে রেখে যাতে চিকিৎসা করা যায়, সেই ব্যবস্থা সেখানে থাকবে। ওই ইউনিটে আলাদা করে রাখার শীতাতপ যন্ত্র লাগানো হবে। মিলবে আধুনিক পরিষেবা।

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালেও বার্ন ইউনিট গড়ে তোলা যায়নি। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কেউ ভর্তি হতে এলেও তাঁদের চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় বলে অভিযোগ। জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন শ’য়ে শ’য়ে লোক চিকিৎসা পরিষেবা পেতে হাসপাতালে আসেন। অথচ বার্ন ইউনিট না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় রোগীর পরিজনেদের। অনেকেই বাধ্য হয়ে বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য চলে যান। যাঁদের তেমন আর্থিক সঙ্গতি নেই, তাঁরা বাধ্য হয়ে মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য যান।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘আলাদা করে বার্ন ইউনিট না থাকলেও সার্জারি বিভাগে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের রেখে চিকিৎসা করতে হয়। অন্তত ১০ জনকে পরিষেবা দেওয়ার মতো ব্যবস্থা রয়েছে। আলাদা বার্ন ইউনিট করার ব্যাপারে চেষ্টা চলছে।’’ শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘জেলা হাসপাতালে বার্ন ইউনিট নেই। রোগীরা এলে তাঁদের মেডিক্যাল কলেজে পাঠাতে হয়। হাসপাতালে বার্ন ইউনিট তৈরির বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে।’’

North Bengal Medical College Burn Unit
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy