Advertisement
E-Paper

হেল্পলাইন আছে, জানেনই না কেউ

অপেক্ষাতেই ফুরিয়ে যায় গোটা দিন। ফোনের রিং বাজে না। চলন্ত ট্রেনে অথবা স্টেশনে যাত্রীদের অভিযোগ শুনে দ্রুত পদক্ষেপের জন্য রেলের টোল ফ্রি নম্বর রয়েছে। মাস চারেক আগে গোটা দেশের সঙ্গে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার বিভাগেও চালু হয়েছে হেল্পলাইন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৬ ০১:৩২

অপেক্ষাতেই ফুরিয়ে যায় গোটা দিন। ফোনের রিং বাজে না।

চলন্ত ট্রেনে অথবা স্টেশনে যাত্রীদের অভিযোগ শুনে দ্রুত পদক্ষেপের জন্য রেলের টোল ফ্রি নম্বর রয়েছে। মাস চারেক আগে গোটা দেশের সঙ্গে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার বিভাগেও চালু হয়েছে হেল্পলাইন। যদিও, দিনে বড়জোর দু’টির বেশি ফোনই আসেনা। কোনও কোনও দিন-রাত এমনও কেটে যায়, একটিও ফোন নেই। অথচ কাটিহার বিভাগ দিয়ে চলন্ত ট্রেন বা স্টেশনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই এমনটা বিশ্বাস করতে রাজি নন রেল সুরক্ষা বাহিনীর (আরপিএফ) কর্তারাও। আরপিএফ এবং রেল কর্তাদেরই একাংশের দাবি, যাত্রীদের অভিযোগ শুনে পদক্ষেপ করার জন্য একটি হেল্পলাইন যে তৈরি হয়েছে সেটা অধিকাংশ যাত্রীর জানাই নেই। শুক্রবার শিলিগুড়ি জংশনে আরপিএফের অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন কাটিহার বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি কমান্ডেন্ট মহম্মদ শাকিব। হেল্পলাইন নিয়ে ব্যাপক প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই বৈঠকে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযোগ শোনার জন্য হেল্পলাইন চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় রেল। সেই মতো গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলেরও হেল্পলাইন চালু হয়। রেলের প্রতিটি ডিভিশনে হেল্পলাইনের কন্ট্রোল রুম রয়েছে। সেই ডিভিশনের যে কোনও এলাকা থেকে ল্যান্ডলাইন অথবা ১৮২ নম্বরে ডায়াল করলেই ফোন বেজে ওঠে সংশ্লিষ্ট ডিভিশনের কন্ট্রোল রুমে। যদিও, কাটিহারের কন্ট্রোল রুমের টোল ফ্রি নম্বরে অভিযোগ জানিয়ে কোনও ফোন আসছে না। কন্ট্রোল রুমের অফিসারদের আক্ষেপ, যে ক’টি ফোন আসে তারও বেশিরভাগ কামরায় জল নেই, আলো জ্বলছে না, মেঝে অপরিষ্কার এমন অভিযোগ জানায়। যদিও, আরপিএফ সূত্রেই দাবি করা হয়েছে, নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি জংশন, জলপাইগুড়ি স্টেশন অথবা চলন্ত ট্রেনের কামরায় অপরাধের অভিযোগের বিরাম নেই। রাতের দিকে অনেক কামরাতেও নিরাপত্তা রক্ষী থাকছে না বলে অভিযোগ উঠছে।

এ দিন আরপিএফের অফিসার মহম্মদ শাকিব স্বীকার করে নেন, ‘‘ঘটনা হল, যাত্রীদের অনেকেই জানেন না যে ১৮২ নম্বরে ফোন করলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় সুরক্ষা পাওয়া যায়। চলন্ত ট্রেনের কামরায় কোনও বিপদ ঘটলে টোল ফ্রি নম্বরে জানালে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয় তাও অনেকেরই অজানা। সে কারণেই টোল ফ্রি নম্বরের ব্যবহার কম হচ্ছে। সব স্টেশন এবং ট্রেনের কামরায় নম্বর জানিয়ে পোস্টার লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের তরফে ‘রেল হামসফর’ সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে। এ দিন ছিল সৎকার দিবস। যাত্রীরা সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন কি না, প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হওয়া জল, খাবারের মান যথাযথ রয়েছে কি না তার পরিদর্শন হয়েছে। আরপিএফের কাটিহার বিভাগের আরপিএফ কর্তা এ দিন শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থাকা বিভিন্ন খাবারের স্টলে গিয়ে জলের বোতল, প্যাকেটজাত খাবারের দাম-সহ অন্য নির্ধারিত পরিকাঠামো ঠিক রয়েছে কি না তা যাচাই করে দেখেন। পরিদর্শনের পরে আরপিএফ অফিসারদের নিয়ে বৈঠকও করেন মহম্মদ শাকিব।

Helpline Passengers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy