Advertisement
E-Paper

পুড়িয়ে মেরে আটক

ঠিকানা বদলেও শেষরক্ষা হল না। মালদহের ডোমহাট গ্রামে ঘুমন্ত অবস্থায় ছ’জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অবশেষে আটক হল ঘটনার মূল অভিযুক্ত মাখন মণ্ডল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৫৬

ঠিকানা বদলেও শেষরক্ষা হল না। মালদহের ডোমহাট গ্রামে ঘুমন্ত অবস্থায় ছ’জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অবশেষে আটক হল ঘটনার মূল অভিযুক্ত মাখন মণ্ডল। সোমবার দুপুরে মোথাবাড়ি থানার রামনাথপুর গ্রামে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে। পুলিশকে দেখে পালাতে গিয়ে লোহার রডের উপর পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয় মাখন। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাকে।

মাখন ধরা পড়তেই তার শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে ডোমহাটের বাসিন্দারা। ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিকাশ মণ্ডল ও তাঁর ভাই গোবিন্দর ঘরে আগুন লাগে। ঘটনায় গোবিন্দ ও তাঁর স্ত্রী রাখী এবং দুই মেয়ে শুভশ্রী-প্রিয়া, বিকাশ ও তাঁর এক মেয়ে গোপীর মৃত্যু হয়। এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বিকাশের স্ত্রী ববিতা মণ্ডল ও তাঁদের স্কুলপড়ুয়া দুই ছেলে বিশাল এবং অলোক। তিনজনের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক বলে দাবি চিকিৎসকদের।

ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল মৃত বিকাশের ভাই মাখন। স্ত্রীর সঙ্গে মাখনের দাম্পত্য কলহ ছিল। যার জেরে স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। পরে মাখনের স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন দাদা গোবিন্দ। তা নিয়েই মাখনের সঙ্গে পরিবারের বাকিদের বিবাদ ছিল বলে দাবি পুলিশের।

পুলিশ মাখনের স্ত্রীকে আগেই গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে মাখন ভুতনিতে শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়েছিল। সেখান থেকে পালিয়ে যায় মোথাবাড়িতে। এ দিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মোথাবাড়ি থানার রামনাথপুর গ্রামে হানা দেয় পুলিশ। সেইসময় নবনির্মিত বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয় সে। আর নিচে লোহার রড থাকায় গলার এক পাশে ঢুকে যায়। এরপরেই তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে।

মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকার বলেন, “মূল অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”

Crime Arrest Fire
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy