E-Paper

হাতির উপদ্রবেজমি অনাবাদি

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সারা বছর ধরেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাতির দল জমি ও বাড়িঘরে হামলা চালায়।

অজিত বণিক

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৫ ০৮:২৯
ডুয়ার্সের জঙ্গলে বনকর্মীদের নজরদারি।

ডুয়ার্সের জঙ্গলে বনকর্মীদের নজরদারি। ছবি: সন্দীপ পাল।

হাতির উপদ্রবে ঘরে ফসল তোলা যায় না। সেই ক্ষোভে প্রায় ২০০ বিঘা জমি অনাবাদি রাখলেন চাষিরা। জলপাইগুড়ি জেলার কুমলাই পঞ্চায়েতের মেচপাড়া, শালবাড়ি ও ঘুঘুটারি বস্তি এলাকার ঘটনা। চাষের ভরা মরসুমে পঞ্চায়েতের অন্যান্য এলাকায় আমন ধান চাষের চরম ব্যস্ততা নজরে পড়লেও উল্লেখিত এলাকায় আমন ধান চাষের উপযোগী বিঘার পর বিঘা জমি ফাঁকা রইল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সারা বছর ধরেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাতির দল জমি ও বাড়িঘরে হামলা চালায়। অভিযোগ, বন্যপ্রাণীর হানা রুখতে রেঞ্জ কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার ব্যাটারি অথবা সৌরবিদ্যুৎচালিত বেড়া লাগানোর দাবি জানানো হলেও আজ অবধি তা বসেনি। যার ফলে অবাধেই এলাকায় প্রায় হাতি ঢুকে পড়ছে।

স্থানীয় চাষি ধনঞ্জয় রায়, মানিক শৈব, রাহুল ওরাওঁ বলেন, ‘‘টাকা পয়সা খরচ করে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জমিতে চাষাবাদ করলেও বুনো হাতির উপদ্রবে প্রায় কোনও বছরই ধান ঘরে তুলতে পারি না। ফলে বিরক্ত হয়ে এ বছর জমিতে ধান চাষ করিনি।’’

এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সুমিতা মুন্ডা বলেন, ‘‘হাতির উপদ্রবের কারণে বিঘার পর বিঘা জমিতে ধান চাষ করা হয়নি। বিষয়টি জানা ছিল না। সংশ্লিষ্ট এলাকার চাষিরা সম্মিলিত ভাবে আবেদন জানালে ব্লক কৃষি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে হাতি খায় না এ রকম বিকল্প চাষের মাধ্যমে তাঁদের স্বাবলম্বী করা হবে।’’

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন তারঘেরা রেঞ্জের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সঞ্জয়কুমার রায়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kranti wildlife Elephants

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy