বেসরকারি বাস নেই। তাই সরকারি বাসে উঠতে ভিড় যাত্রীদের। — নিজস্ব চিত্র
নিয়ন্ত্রণহীন টোটোর দৌরাত্ম্যে ব্যবস্যার ক্ষতি হচ্ছে। এই অভিযোগে দিনহাটায় আন্দোলনে নেমেছে বেসরকারি যাত্রী পরিবহণ কমিটি। বন্ধ রয়েছে পরিষেবা। সোমবার থেকে দিনহাটা মহকুমা জুড়ে রাস্তায় নামছে না ছোটবাস, অটো, ম্যাক্সিক্যাব, মিনিবাস। মঙ্গলবারও অব্যাহত রয়েছে সেই ধর্মঘট।
ধর্মঘটের জেরে কোচবিহার-দিনহাটা রুট-সহ ওই মহকুমার বিভিন্ন রুটে যাত্রী ভোগান্তি চরমে উঠেছে। পরিস্থিতির জেরে আজ বুধবার বৈঠকে ডেকেছে দিনহাটা মহকুমা প্রশাসন। বৈঠকে পুরসভা, আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর, পুলিশ, আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি যাত্রী পরিবহণে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। দিনহাটার মহকুমা শাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’ দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান ও বিধায়ক উদয়ন গুহও সমস্যা মিটে যাওয়ার কথা বলেছেন।
বেসরকারি যাত্রী পরিবহণ সমন্বয় কমিটি নেতৃত্বের অভিযোগ, দিনহাটা মহকুমা কোনও নির্দিষ্ট রুটের পরোয়া না করেই সাত হাজার টোটো চলছে। যাত্রীবাহী বাস, ছোটগাড়ি, অটোর রুট পারমিট রয়েছে এমন রাস্তাও ব্যবহার করছে টোটোগুলি। তাঁরা জানান, আদাবাড়িঘাট, বামনহাট, চৌধুরীহাট, ভেটাগুড়ি, গোসানিমারি-সহ প্রত্যন্ত প্রায় সমস্ত রুটে দেদার টোটো চলছে। গ্রামাঞ্চল থেকেও টোটো যাত্রী নিয়ে পুরসভা এলাকায় ঢুকছে। দিনহাটা পুরসভা এলাকা থেকেও একইভাবে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করছে টোটো। ফলে বাস, মিনিবাস থেকে অটো সমস্ত ছোট যানবাহনের ব্যবসা শিকেয় উঠছে বলে তাঁদের অভিযোগ। লোকসানের মুখেও পড়ছেন তাঁরা। প্রশাসনের নানা মহলে ওই সমস্যার কথা জানালেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। যাত্রী পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ হিসাবে ওই কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সম্পাদক নৃপেন দেবনাথ বলেন, “বাস বা অন্য যানবাহনের পারমিট রয়েছে এমন রুটে টোটো বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।” ওই কমিটির সদস্য তথা তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের নেতা সাধন সাহাও একই দাবি করেছেন।
যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে টোটো চালকদের সংগঠন। তাঁদের বক্তব্য নিয়ম মেনেই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। ওই সংগঠনের নেতা বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “রুটিরুজির প্রয়োজনেই সবাই টোটো চালাচ্ছে। প্রশাসন এই বিষয়টিও দেখবে বলে আশা।” এ সবের মাঝে পড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, ২০টির বেশি বাড়তি বাস চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy