Advertisement
E-Paper

কামরা খুঁজে না পেয়ে ভোগান্তি

কোন কামরা কোথায় দাঁড়াচ্ছে তার বোঝার উপায় নেই জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে। ফলে, রোজই সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। কারণ, ওই স্টেশনে দূরপাল্লার ৬ টি এক্সপ্রেস ট্রেন এবং স্বল্প দূরত্বের একটি এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়ায়। প্রতিটি ট্রেনের দাঁড়ানোর সময় সর্বাধিক দুমিনিট। এত কম সময়ের মধ্যে সংরক্ষিত এবং নির্দিষ্ট কামরা খুঁজে পেতে যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৫ ০২:৪০

কোন কামরা কোথায় দাঁড়াচ্ছে তার বোঝার উপায় নেই জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে। ফলে, রোজই সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। কারণ, ওই স্টেশনে দূরপাল্লার ৬ টি এক্সপ্রেস ট্রেন এবং স্বল্প দূরত্বের একটি এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়ায়। প্রতিটি ট্রেনের দাঁড়ানোর সময় সর্বাধিক দুমিনিট। এত কম সময়ের মধ্যে সংরক্ষিত এবং নির্দিষ্ট কামরা খুঁজে পেতে যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে।

জলপাইগুড়ির প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির কর্মী গৌরাঙ্গ ঘোষ জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে গুয়াহাটি গামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ৬০ বছর বয়সী একজন আত্মীয়াকে তুলে দিতে গিয়েছিলেন। তাঁর গন্তব্য, নিউ আলিপুরদুয়ার জংশন। ওই ট্রেনের ডি-৩ কামরায় তাঁর বসার আসন সংরক্ষণ করা ছিল। দূরপাল্লার ওই ট্রেনে কোথায় এই সংরক্ষিত কামরাটি দাঁড়াবে তা তাঁরা বুঝতে পারছিলেন না। রেল কর্মীদের সহায়তা চাইলে তাঁরা তাকে প্ল্যাটফর্মের মধ্যে একটি জায়গা দেখিয়ে দেন। কিন্তু ট্রেন যখন এসে দাঁড়াল, দেখা গেল কামরাটি অনেক দূরে দাঁড়িয়েছে। অতি কষ্টে রেলকর্মীদের সহায়তা নিয়ে ২ মিনিটের মধ্যে মালপত্র নিয়ে উঠতে হয় তাঁকে। গৌরাঙ্গবাবু বলেন, “কোন কামরা কোথায় দাঁড়াচ্ছে তা দেখানোর ব্যবস্থা থাকলে অসুবিধা হতো না।”

জলপাইগুড়ি নিত্যযাত্রী সমিতির সম্পাদক গোপাল পোদ্দার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “যে সমস্ত স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়ায় সেখানে কোন কামরা কোথায় দাঁড়াচ্ছে তা বোঝার ব্যবস্থা করা রেল কর্তৃপক্ষের করা উচিত। রোড স্টেশনে সেই ব্যবস্থা নেই। যাত্রীদের অসুবিধা দূর করার জন্য জন্য অবিলম্বে এই বোর্ড লাগানো হোক।”

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদূয়ারের বিভাগীয় আধিকািরক সঞ্জীব কিশোর সম্প্রতি কাজে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনের সমস্যাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।” যে সমস্ত দূরপাল্লার আপ এবং ডাউন ট্রেন জলপাইগুড়ি স্টেশনে দাঁড়ায় সেগুলি হল, গুয়াহাটি বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস, কামরূপ এক্সপ্রেস, নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র মেল, অওয়ধ অসম এক্সপ্রেস এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নিউ জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের মধ্যে চলাচলকারী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ওই স্টেশনে দাঁড়ায়। ওই ট্রেনটিই নিউ জলপাইগুড়ি থেকে পদাতিক এক্সপ্রেস হয়ে শিয়ালদহ যায় এবং ফেরার সময় নিউজলপাইগুড়িতে এসে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস হয়ে কোচবিহারে যায়।

passengers suffering train compartments jalpaiguri road station kanchanjungha express
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy