ভিন রাজ্যে ইমারতি সহ নানা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজে গিয়ে নোটবন্দির ধাক্কায় কাজ হারিয়ে ফিরে আসা দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের কিছু যুবকের মধ্যে দেখা দিয়েছে আশা-আশঙ্কার দোলাচল। রাজ্য বাজেট তাঁদের জন্য এককালীন ৫০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্যের ঘোষণায় তাঁরা আশায় বুক বাঁধছেন বটে। কিন্তু সরকারি তালিকায় তাদের নাম উঠবে কি না, তা নিয়ে ঘোর সংশয় তৈরি হয়েছে তপনের আউটিনা অঞ্চলের বিষ্ণুপুর, আটিলা ও কাঁকনা এলাকার কাজ হারানো শ্রমিকদের মধ্যে। এ দিন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক সঞ্জয় বসু বলেন, রাজ্য থেকে নিশ্চয়ই এ বিষয়ে রূপরেখা পাঠানো হবে। গ্রাম স্তরে সমীক্ষা করেই বাছা হবে কাজ হারানো দক্ষ শ্রমিকদের। জেলা শ্রম দফতরের সহ কমিশনার সজল দাস বলেন, ‘‘এ জেলা থেকে ভিন রাজ্যে কত জন মানুষ কাজ করতে যান। তার কোনও তথ্য নেই।’’
কাজের সন্ধানে মালদহ থেকেও হাজার হাজার শ্রমিক পাড়ি দেন ভিনরাজ্যে। কেউ সোনার দোকানে কাজ করেন। আবার অনেকে যান রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য। নোট বাতিলের ফলে ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরার হিড়িক পড়ে গিয়েছে মালদহ জেলায়। এমন অবস্থায় বাজেটে ভিন রাজ্য থেকে ফিরে আসা কারিগরদের জন্য রাজ্য সরকার বাজেটে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করায় খুশি জেলার কারিগরেরা। তবে জেলা থেকে কত শতাংশ কারিগর কিংবা শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজে যান সেই বিষয়ে কোন তথ্য নেই প্রশাসনের কাছে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘কোন তথ্য নেই প্রশাসনের কাছে। তাই প্রকৃতদের রঞ্জিত করে পকেট ভরবে শাসক দলেরই নেতা কর্মীদের।’’ এই বিষয়ে বিরোধীদের পাল্টা সমালোচনা করেছেন মালদহের তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মানব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম আমলেও শ্রমিক, কারিগরেরা কাজে যেতেন ভিন রাজ্যে। সেই সময় কেউ উদ্যোগী হয়নি। আর এখন তাঁদের মুখে সমালোচনা মানায় না।’’
শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলার কালিয়াচকের তিনটি ব্লক, হবিবপুর, বামনগোলা, রতুয়া এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে প্রচুর মানুষ কাজের জন্য পাড়ি দেন ভিন রাজ্যে। কালিয়াচক, ইংরেজবাজার এবং হবিবপুর ব্লকের সোনার কারিগরেরাও যান মুম্বাই এর মহারাষ্ট্রে। গত, ৮ নভেম্বর নোট বাতিল হয়ে যাওয়ার ফলে কাজ না পেয়ে ভিন রাজ্য থেকে ফিরে আসেন হাজার হাজার কারিগর, শ্রমিক। ভিন রাজ্যে কাজে না গিয়ে এখনও বাড়িতেই রয়েছেন অনেকে। গত, শুক্রবার বাজেটে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ হারানোদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে। প্রায় ৫০ হাজার কারিগরদের আর্থিক সাহায্য করা হবে।
রাজ্য সরকারের ঘোষণায় খুশি হলেও চিহ্নিত কারিগরেরা। হবিবপুরের ঋষিপুরের বাসিন্দা স্বপন সিংহ, সুজয় সিংহেরা বলেন, গত, ২৬ ডিসেম্বর টাকার অভাবে মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফিরে এসেছে। জমানো টাকা খরচ করে মাস খানেক কোন রকমে টেনে টুনে সংসার চলছে। রাজ্য সরকারের তরফে অনুদান পেলে খুবই ভালো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy