Advertisement
E-Paper

কুলিকে নিষিদ্ধ হল পিকনিক

পরিযায়ীদের অবাধ বিচরণের স্বার্থে গোড়া থেকেই ওই পিকনিক স্পটে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে পিকনিক নিষিদ্ধ। এমনকী, পিকনিককে কেন্দ্র করে যাতে দূষণ না ছড়ায়, সেজন্য স্পটটি চালুর সময় থেকেই বন দফতরের তরফে সেখানে আবর্জনা ফেলার একাধিক ডাস্টবিনও বসানো হয়।

গৌর আচার্য

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৩৩
পিকনিকের পরে ছড়ানো আবর্জনা। ফাইল চিত্র

পিকনিকের পরে ছড়ানো আবর্জনা। ফাইল চিত্র

পরিযায়ী পাখিদের অবাধ বিচরণের স্বার্থে ও পরিবেশ দূষণ রুখতে এক দশক আগে রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষিনিবাস চত্বরে পিকনিক নিষিদ্ধ হয়েছিল। তবে পর্যটকদের কথা ভেবে আট বছর আগে পক্ষিনিবাসের সংরক্ষিত এলাকার বাইরে পিকনিক স্পট তৈরি করে দিয়েছিল বন দফতর। এব্র সেখানেও নিষিদ্ধ করল বন দফতর।

পরিযায়ীদের অবাধ বিচরণের স্বার্থে গোড়া থেকেই ওই পিকনিক স্পটে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে পিকনিক নিষিদ্ধ। এমনকী, পিকনিককে কেন্দ্র করে যাতে দূষণ না ছড়ায়, সেজন্য স্পটটি চালুর সময় থেকেই বন দফতরের তরফে সেখানে আবর্জনা ফেলার একাধিক ডাস্টবিনও বসানো হয়। কিন্তু গত পাঁচবছর ধরে বহু অভিযান ও সচেতনতা প্রচার চালিয়েও ছবিটা বদলায়নি। প্রতি বছর পিকনিকের মরসুমে ওখানে শব্দ ও পরিবেশ দূষণ রোখা সম্ভব হয়নি বলে বন দফতরের দাবি। এই পরিস্থিতিতে ওই স্পটে পিকনিকই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বন দফতর।

রায়গঞ্জের বিভাগীয় বনাধিকারিক দীপর্ণ দত্তের দাবি, গত পাঁতবছর ধরে বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকেরা পিকনিকের মরসুমে বহু অভিযান ও সচেতনতা প্রচার চালিয়েও পিকনিক স্পটে শব্দ ও পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে পারেননি। ফলে পিকনিকের মরসুমে শব্দ দূষণের জেরে পক্ষিনিবাসের পরিযায়ীদের যেমন সমস্যা হয়, তেমনি পর্যটকরা পিকনিক স্পটের যত্রতত্র বিভিন্ন আবর্জনা ও মদের খালি বোতল ফেলায় পক্ষিনিবাসে দূষণেরও সৃষ্টি হয়। তাই পরিযায়ীদের অবাধ বিচরণের স্বার্থে ও পরিবেশ দূষণ রুখতে এবছর থেকে বন দফতরের তরফে ওই স্পটে পিকনিক নিষিদ্ধ করা হল।

পরিবেশ দূষণ রুখতে ও পরিযায়ী পাখিদের অবাধ বিচরণের স্বার্থে ২০০৮ সালে পক্ষিনিবাসের সংরক্ষিত এলাকায় পিকনিক নিষিদ্ধ করে বন দফতর। তবে পর্যটকরা যাতে পিকনিক করতে পারেন, তারজন্য বন দফতরের তরফে ২০১০ সালে পক্ষিনিবাসের অসংরক্ষিত এলাকার ২৫ বিঘা জমিতে পানীয়জল, শৌচাগার ও ডাস্টবিনের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো সহ ওই পিকনিক স্পটটি গড়ে তোলা হয়।

বন দফতরের অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে গত পাঁচবছর ধরে পিকনিকের মরসুমে পর্যটকদের একাংশ পিকনিক চলাকালীন ওই পিকনিক স্পটের যত্রতত্র থার্মোকলের থালা, বাটি, গ্লাস, মদের খালি বোতল, প্লাস্টিক এবং বিভিন্ন আবর্জনা ফেলেন। বাতাসে বিভিন্ন আবর্জনা পিকনিক স্পটের যত্রতত্র উড়ে বেড়ায়। ওই ঘটনার জেরে পক্ষিনিবাস জুড়ে দূষণও ছড়ায়। পর্যটকদের একাংশ উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে পিকনিক করেন। ফলে শব্দদূষণের জেরে পরিযায়ীরা সমস্যায় পড়ে।

Prohibition Picnic Kulik bird sanctuary
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy